Tuesday, May 6, 2025

২০২০

সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়

(১৯৩৫-২০২০) এদিন সংসার সীমান্ত ছেড়ে তিন ভুবনের পারে পাড়ি জমালেন। তিনি শুধু বাংলা ছবির মহাতারকা ছিলেন না, ছিলেন অভিনেতা-নাট্যকার-বাচিকশিল্পী-কবি-চিত্রকরও। সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে কাজের সুবাদে সবচেয়ে বেশি পরিচিত সৌমিত্র। তাঁর পরিচালনায় মোট ১৪টি ছবিতে কাজ করেছেন সৌমিত্র। লিজিয়ঁ অফ অনার, দাদাসাহেব ফালকে, বঙ্গভূষণ, পদ্মভূষণ এবং জাতীয়স্তরে আরও অনেক পুরস্কার পেয়েছেন। নাহ্, উত্তমকুমার হয়ে ওঠেননি তিনি। অন্য বহু তারকার মতো টলিউডের কমার্শিয়াল ছবিতে দাপিয়ে কাজ করেছেন এমনও নয়। তাঁর একমাত্র সম্পদ ‘অ্যাকাডেমিক ইনটেলিজেন্স’। অভিনয়ে বুদ্ধির সংযত ঝলক। আর সেই হাতিয়ার সম্বল করেই কখনও তিনি হয়েছেন রবীন্দ্রনাথের ‘রাজা’ আবার কখনও সত্যজিৎ রায়ের প্রদোষচন্দ্র মিত্র। ‘ময়ূরবাহন’ থেকে ‘ময়ূরাক্ষী’। ‘ক্ষিদ্দা’ থেকে ‘উদয়ন পণ্ডিত’। বাঙালি তাঁকে ঘিরে সব আশা দু’হাত ভরে মিটিয়েছে।

১৮৭৫
বিরসা মুণ্ডা (১৮৭৫-১৯০০) এদিন জন্মগ্রহণ করেন। উলগুলানের নায়ক তিনি। ব্রিটিশ ভারতের ছোটনাগপুরের সিংভূম, রাঁচি, পালামৌ জেলাগুলোয় মুণ্ডা-সহ অন্য আদিবাসীদের ঘনবসতি ছিল। ইংরেজদের হাতের মুঠো থেকে দেশমাকে স্বাধীন করার জন্যে বন্দুকের সামনে তির-ধনুক নিয়ে লড়াই করতে নেমে পড়েছিলেন বীর যোদ্ধা বিরসা মুণ্ডা। তাঁকে নিয়ে আজও মুণ্ডারা গান গায়—‘হে ধরতি আবা! জন্ম তোমার চালকাদেতে ভাদ্র মাসে/ অন্ধজনের চোখ মিলল ভাদ্র মাসে/ চলো যাই ধরতি আবাকে দেখি/ এ বড়ো আনন্দ হে, তাঁকে প্রণাম করি/ আমাদের শত্রুদের তিনি হারিয়ে দিবেন ভাদ্র মাসে।’ ‘মুণ্ডার জীবনে ভাত একটা স্বপ্ন হয়ে থাকে। ঘাটো একমাত্র খাদ্য যা মুণ্ডারা খেতে পায়, তাই ভাত একটা স্বপ্ন।’ সেই অভিশপ্ত জীবন অতিক্রম করে মুণ্ডা বিরসা ঊর্ধ্ব গগনে মাদল বাজাতে চেয়েছেন; এবং বাজিয়েছেন। তিনি আদেশ শুনেছেন, যাত্রা করো, ‘যাত্রা করো যাত্রীদল/ উঠেছে আদেশ।’ বিরসা জানতেন তাঁকে একদিন লেখাপড়া শিখতে হবে। দিকুদের ভাষা শিখলে তবে ও দিকুদের হাত থেকে জমি-বাড়ি ছাড়াতে পারবেন। পঁচিশ বছরের যুবক বিরসা তাই সমস্ত বন্ধন অতিক্রম করে অরণ্যের অধিকার চেয়েছিলেন।

১৯২৩

পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায় (১৮৬৬-১৯২৩) এদিন প্রয়াত হন। কর্মজীবনের প্রথমে সরকারি চাকরি, তারপর অধ্যাপনা, এরপর সংবাদপত্র সম্পাদনা শুরু করেন। ‘বঙ্গবাসী’, ‘হিতবাদী’, ‘বসুমতী’, ‘স্বরাজ’, ‘নারায়ণ’, ‘নায়ক’, ‘সন্ধ্যা’ প্রভৃতি সংবাদপত্রের সঙ্গে সম্পাদনার কাজে কিংবা অন্যভাবে যুক্ত ছিলেন। হিন্দি কাগজ ‘কলিকাতা সমাচার’ ও ‘ভারতমিত্রে’র সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন।

১৮৫৬ মধুসূদন গুপ্ত
(১৮০০-১৮৫৬) এদিন প্রয়াত হন। ভারতে প্রথম শব ব্যবচ্ছেদ তাঁর হাতে। ১৮৩৬-এর ১০ জানুয়ারি এ-কাজ করেন তিনি। জাতধর্ম না জেনে মৃতদেহ ছোঁয়া এবং কাটাকুটির জন্য জাতিচ্যুত করা হয় মধুসূদনকে। কিন্তু দমানো যায়নি তাঁকে। তথ্য বলছে, ১৮৩৭ সালে ৬০টি মৃতদেহ ব্যবচ্ছেদ হয় কলকাতার মেডিক্যাল কলেজে। মধুসূদন ১৮৪৯-এ ‘লন্ডন ফার্মাকোপিয়া’ এবং ‘অ্যানাটমিস্ট’স ভাদি মেকাম’-এর বাংলা অনুবাদ করেন। ১৮৫২-তে মেডিক্যাল কলেজে বাংলা শ্রেণি খোলা হলে তার সুপারিনটেন্ডেন্ট হন তিনি। ১৮৫৩ সালে প্রকাশিত হয় ‘অ্যানাটমি’ নামে তাঁর অমূল্য গ্রন্থ।

১৯৮৭

শ্যামল মিত্র
(১৯২৯-১৯৮৭) এদিন সুরলোকে পাড়ি দিলেন। বিগত শতাব্দীর পঞ্চাশ ও ষাটের দশকের সবচেয়ে জনপ্রিয় গায়কদের অন্যতম। তাঁর অনেক গান আজও বাঙালি শ্রোতাদের কাছে আদৃত। তাঁর সুর করা জনপ্রিয় চলচ্চিত্রগুলির মধ্যে ‘দেয়া নেয়া’ ছাড়াও আছে ‘আনন্দ আশ্রম’, ‘অমানুষ’-এর মতো ছবি। তাঁর রেকর্ডের সংখ্যা প্রায় সাড়ে চার হাজার। প্রথম প্লে ব্যাক গায়ক হিসেবে ১৯৪৮ সালে ‘সুনন্দার বিয়ে’তে সাড়া ফেলেন।

১৯৭০
কালীপদ পাঠক
(১৮৯০-১৯৭০) এদিন প্রয়াত হন। প্রধানত টপ্পা গায়ক হিসেবে পরিচিত হলেও ধ্রুপদও ভাল গাইতেন। যাত্রা গায়ক হিসেবে সংগীত জীবনের শুরু। মাত্র দু’খানি গানের রেকর্ডের সন্ধান পাওয়া যায়।

 

 

 

 

Related articles

২০২৬-এ ফেব্রুয়ারির শুরুতেই মাধ্যমিক! রইল রুটিন

আগামী বছর কবে মাধ্যমিক(Madhyamik), মঙ্গলবার তা জানিয়ে দিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ(WBBSE)। ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের গোড়াতেই শুরু হবে দশম...

সমস্যায় কর্ণপাত করছে না কেন্দ্র, নদী ভাঙন নিয়ে বিরক্ত মুখ্যমন্ত্রী

নদী ভাঙনের কারণে মালদহ জেলা বিপদের মুখে। এ পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের(Central Govt) কাছে সাহায্য চেয়েও নিরাশ হতে হয়েছে রাজ্যকে।...

মক ড্রিল! ব্ল্যাক আউট! জেনে নিন কী রয়েছে এই আত্মরক্ষা কৌশলে

আদৌ কী পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ করবে ভারত? ভারত-পাক যুদ্ধ কী আসন্ন? না কি সবটাই যুদ্ধ জিগির তুলে ভোটব্যাঙ্ককে...

ভিনরাজ্যে আক্রান্ত হলে ফিরে আসুন: বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের আহ্বান মুখ্যমন্ত্রীর

ভিনরাজ্যে আক্রান্ত হলে বাংলা ফিরে আসুন পরিযায়ী শ্রমিকরা। মঙ্গলবার, মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সুতির সভা থেকে আহ্বান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের...
Exit mobile version