Thursday, August 28, 2025

 

১৯৩০

মিহির সেন

(১৯৩০-১৯৯৭) এদিন পুরুলিয়ার মানভূমে জন্ম নেন। পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে মিহির ছিলেন বড়। বাবা ডাক্তার রমেশ সেনগুপ্ত ছিলেন অত্যন্ত সজ্জন মানুষ। সাতসমুদ্র তেরো নদী সাঁতার কেটে পার হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন মিহির। তাই ব্যারিস্টার হবেন বলে বিলেতে গিয়েও হয়ে গিয়েছিলেন ‘দীর্ঘ পথের সাঁতারু’। মাত্র এক বছরে পার করেছিলেন পাঁচটি সমুদ্র। সারা বিশ্ব অবাক হয়ে প্রবাদপ্রতিম এক বাঙালি সাঁতারুর জন্ম হতে দেখেছিল। তাঁর বয়স তখন সতেরো। দেশ সদ্য স্বাধীন হয়েছে। প্রথমে তিনি বিখ্যাত ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা শুরু করেন। রাজনীতিবিদ, সিনেমার তারকা, বড় ব্যবসায়ী— কাউকেই বাদ দেননি। কিন্তু সাড়া পাননি কারও কাছ থেকে। এমন সময়ে তিনি খবর পান, ওড়িশার প্রথম মুখ্যমন্ত্রী বিজু পট্টনায়ক রাজ্যের তরুণ ছেলেমেয়েদের নানা ভাবে সাহায্য করে থাকেন। মিহির সটান হাজির হয়ে যান তাঁর কাছে। কিন্তু প্রথমে তাঁকেও হতাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মিহির হার মানার মানুষ তো ছিলেনই না, ছিলেন নাছোড়বান্দা। যেখানেই মুখ্যমন্ত্রী যান, সেখানেই দেখা যায় মিহির তাঁর আশপাশে ঘুরঘুর করছেন। শেষে বিরক্ত হয়ে বিজু পট্টনায়ক তাঁর বাড়িতে আসতে বলেন মিহিরকে। তাঁকে একটি সুটকেস, দশ পাউন্ড ও ইংল্যান্ডে যাওয়ার জাহাজের তৃতীয় শ্রেণির একটি টিকিট ধরিয়ে দিয়ে হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন। সালটা ১৯৫০, মিহিরের বয়স কুড়ি। কেবল ইচ্ছাশক্তির উপর ভর করে সপ্তমবারের চেষ্টায় চোদ্দো ঘণ্টা পঁয়তাল্লিশ মিনিট সাঁতার কেটে মিহির সেন শেষ অবধি ফ্রান্সের তীরে পৌঁছতে পেরেছিলেন। সেই ভোরে ফ্রান্সের তীরে পৌঁছে ঠান্ডায় কাঁপতে কাঁপতে জলে ভেজা ভারতের জাতীয় পতাকা তুলে ধরে ইংলিশ চ্যানেলের গর্জন ছাপিয়ে গেয়ে উঠেছিলেন জাতীয় সংগীত।

১৯১৪

কমলকুমার মজুমদার

(১৯১৪-১৯৭৯) এদিন জন্মগ্রহণ করেন। সাহিত্যিক ও শিল্পী। তাঁর প্রধান গল্প ‘নিম অন্নপূর্ণা’, ‘শ্যাম নৌকা’, ‘গোলাপ সুন্দরী’, ‘সুহাসিনীর পমেটম’ ইত্যাদি। ‘অন্তর্জলি যাত্রা’, ‘পিঞ্জরে বসিয়া সুখ’ ইত্যাদি তাঁর লেখা উল্লেখযোগ্য উপন্যাস। তাঁর ভাষা আপাতকঠিন হলেও শব্দসৌন্দর্য ও গভীরতায় অনেক লেখককে আকৃষ্ট করেছিল। চন্দনের বনে প্রবেশ করতে গেলে অনেক জঙ্গল পেরোতে হয়। সেসব পেরিয়ে গা-হাত-পা ছড়ে যাওয়ার পর যখন চন্দনের বনে প্রবেশ করা হয়, তখন সেই সৌরভে মন-প্রাণ ভরে ওঠে। নিজের গদ্যকে এ ভাবেই বর্ণনা করেছিলেন তিনি। সাহিত্য, ভাস্কর্য, চিত্রকলা, নাটক, চলচ্চিত্র— একসঙ্গে তিনি শিল্পরীতির এতগুলো মাধ্যমে কাজ করেছেন আবার সেন্সাস বা শিক্ষকতার মতো কাজও করেছেন বড় যত্ন নিয়ে। বাংলার তাবড় তাবড় বিদ্বজ্জন ছিলেন তাঁর গুণগ্রাহী। ফরাসি সাহিত্যে বিদগ্ধ ছিলেন।

১৯৮৮

বেনজির ভুট্টো

(১৯৫৩-২০০৭) এদিন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হন। তিনি আধুনিক কালে ইসলামি দেশগুলোর মধ্যে প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী। তিনি দুই দফায়, ১৯৮৮-১৯৯০ এবং ১৯৯৩-১৯৯৬ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।

১৮৯০

হেমেন্দ্রনাথ ঘোষ

(১৮৯০-১৯৬৫) এদিন জন্মগ্রহণ করেন। জাতীয় আন্দোলনে যোগ দিয়ে কারাবরণ করেন। ছাড়া পাওয়ার পর চিকিৎসা শাস্ত্রের স্নাতক হয়ে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের আবাসিক চিকিৎসক নিযুক্ত হন। তিনি ও তাঁর পোলিশ স্ত্রী আন্না নিউতা স্ট্যান্ডার্ড ফার্মাসিটিউক্যাল ওয়ার্কস লিমিটেড প্রতিষ্ঠা করে ভারতে প্রথম পেনিসিলিন প্রস্তুত করেন।

২০০১

‘হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ফিলোজফার্স স্টোন’ মুক্তি পেল এদিন। জে কে রাউলিং-সৃষ্ট হ্যারি পটার চরিত্র নিয়ে প্রথম চলচ্চিত্র। হ্যারি পটারের ভূমিকায় ড্যানিয়েল রাডক্লিফ। হগোয়ার্টসের জাদু বিদ্যালয়ে হ্যারির প্রথম বছরের অভিজ্ঞতা ছিল এই ছবির বিষয়।

১৯৮৬

বিধায়ক ভট্টাচার্য
(১৯০৭-১৯৮৬) এদিন প্রয়াত হন। প্রখ্যাত নাট্যকার, সাহিত্যিক ও সাংবাদিক। তিনি ভারতীয় উপমহাদেশের প্রথম দিককার মঞ্চ অভিনেতা ও নাট্যকারদের অন্যতম। একাধিক চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন। শান্তিনিকেতনে শিক্ষকতা করেছেন এবং রবীন্দ্রনাথের স্নেহধন্য ছিলেন।

 

 

 

Related articles

পদপিষ্ট হওয়ার প্রায় ৮৪ দিন পর নীরবরতা ভাঙল RCB

আরসিবির(RCB) বিজয়োল্লাসের সেই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটার পর প্রায় ৮৪ দিন পর  নীরবতা ভাঙল রয়্যাল চ্যালেঞ্জারেস বেঙ্গালুরু। সেই ঘটনার...

আমাকে স্টেনগান-পাইপগান নিয়ে তাড়া করেছিল: গায়ে কাঁটা দেওয়া অভিজ্ঞতা শোনালেন তৃণমূল সভানেত্রী

তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (TMCP) প্রতিষ্ঠা দিবস। আর বৃহস্পতিবার সেই সমাবেশে বক্তব্য রাখতে উঠে স্মৃতি মেদুর তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো...

এখনও চুপ মোদি! শুল্ক লাগুর পরেও ভারত নিয়ে কুকথা ট্রাম্পের পারিষদদের

পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাতের সময়ে বারবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছিলেন ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধ তিনি থামিয়েছিলেন। তখন চুপ করেছিলেন...

উৎসবের মরশুমে সতর্ক স্বাস্থ্য দফতর, মাতৃ ও শিশুমৃত্যু রুখতে কড়া নির্দেশ 

আলো ঝলমলে প্যান্ডেল, রোশনাই, ভিড়—শহর যখন মেতে ওঠে উৎসবের আবহে, ঠিক তখনই অন্য প্রান্তে দেখা যায় উদ্বেগের ছবি।...
Exit mobile version