তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (TMCP) প্রতিষ্ঠা দিবস। আর বৃহস্পতিবার সেই সমাবেশে বক্তব্য রাখতে উঠে স্মৃতি মেদুর তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। স্মরণ করলেন তাঁর ছাত্র জীবনের রাজনীতির কথা। গায়ে কাঁটা দেওয়া অভিজ্ঞতার কথা।
এদিন মেয়ো রোডে গান্ধি মূর্তির সামনের সভামঞ্চে থেকে ছাত্র রাজনীতি জীবনের কথা বলতে গিয়ে তৃণমূল সভানেত্রী জানালেন, কীভাবে আক্রান্ত হয়েছিলেন। মমতার কথায়, “ওরা আমাকে স্টেনগান, পাইপগান নিয়ে তাড়া করেছিল।“
এর পরে নস্টালজিক মমতা জানান কীভাবে দলীয় সদস্যদের বাঁচিয়ে ছিলেন। বলেন, “বক্সিদা আমাদের সিনিয়র। আমি তখন কলেজে। আশুতোষ কলেজে ইলেকশন হচ্ছে। আমি বক্তৃতা দিতে গিয়েছিলাম। দুই ছেলেকে গাড়িতে এসে সিপিএমের গুন্ডারা তুলে নিয়ে যাচ্ছে। আমি একটা সময় বক্তৃতা দেওয়ার ফাঁকে জল খেতে গিয়েছিলাম, তখন দেখি এই কাণ্ড। আমি তখন গিয়ে কলার চেপে ধরি। ছেলে দুটোকে বাঁচিয়ে আনলাম। ওরা আমাকে বন্দুক নিয়ে তাড়া করল, পাইপগান, স্টেনগান নিয়ে তাড়া করল।“
কীভাবে সেদিন রক্ষা পেয়েছিলেন?
মমতার কথায়, ‘বক্সিদাদের পাড়ায় শ্রীহরি মিষ্টান্ন ভান্ডার বলে একটা দোকান রয়েছে। এখনও রয়েছে। তার পাশে রেস্টুরেন্ট ছিল। সেখানে বসে থাকা কয়েকজন দেখতে পেয়ে আমাকে রেস্টুরেন্টে ঢুকিয়ে দিল, ওরা আর খুঁজে পায়নি। নাহলে সেদিনই আমাকে মেরে দিত।“
হাজরার আক্রমণ প্রসঙ্গে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, “আমার মাথায় ৪৬ টা সেলাই রয়েছে। ব্রেন অপারেশন করতে হয়, ডান হাতের অর্ধেক হাড় নেই। যখন প্রথমবার মারে গলগল করে রক্ত বেরোচ্ছিল, দ্বিতীয়বার মারে, বাঁদিক ডান দিক, রক্তে ভাসছে। তৃতীয়বার যখন মারে, তখন হাতটা মাথায় উঠে গিয়েছিল। ঈশ্বর বাঁচিয়ে দিয়েছে।“
নিজের লড়াইয়ের স্মৃতিচারণ করে মমতা বার্তা দেন, আক্রমণ সত্ত্বেও লড়াইয়ের মঞ্চ থেকে চলে যাননি তিনি। মানুষের জন্যে তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে লড়ে গিয়েছেন।
–
–
–
–