ইডেনে লজ্জার হার ভারতের(India)। পছন্দ মতো পিচ বানিয়েও দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে জয় অধরাই থাকল ভারতের(India)। টিম ইন্ডিয়ার হারের নেপথ্যে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে, তুলে ধরা হল এই প্রতিবেদনে।
প্রথম টেস্ট ক্রিকেটের ধ্রুপদী সংস্করণ, এই ফর্ম্যাটে সাফল্য পাওয়ার প্রথম শর্তই হল ধৈর্য্য। কিন্ত ভারতীয় ব্যাটারদের দেখে মনে হল না এই পাঠটা গম্ভীর দিতে পেরেছেন। টি২০-র মেজাজে ব্যাটিং করার যেন পরিকল্পনা ছিল ঋষভদের। ফল যা হওয়ার তাই হল , চতুর্থ ইনিংসে ৯৩ রানেই অল আউট হল ভারত।
দ্বিতীয়ত, টেস্টে এখনও ব্যাটিং লাইন আপই তৈরি হয়নি। বিরাট-রোহিত-পূজারাদের বিকল্প এখনও তৈরি হয়নি। বিশেষ করে মিডল অর্ডারে ধরে খেলার ব্যাটার নেই। ওপেনাররা দ্রুত আউট হলে দায়িত্ব বাড়ে মিডল অর্ডারের। কিন্তু ইডেনের দুই ইনিংসেই ব্যর্থ ভারতের মিডল অর্ডার। ফলে টপ অর্ডার ব্যর্থতা ঢাকতে পারল না মিডল অর্ডার।
অল রাউন্ডার খেলাতে গিয়ে বিশেষজ্ঞ ব্যাটার কম খেলান গম্ভীর। কিন্তু অক্ষর ব্যাটে বলে কার্যকরী ভূমিকা নিতে পারলেন না। ফলে গম্ভীরের দল নির্বাচন নিয়েও প্রশ্ন থাকছে।
যদিও সাংবাদিক সম্মেলনে এসে গম্ভীর বলেন, অক্ষরকে দোষ দেব না। ওর এপ্রোচ ঠিক ছিল। তখনও জিততে ৩০ রান দরকার ছিল। বাঁহাতি স্পিনার বল করছিল। তাই পরিস্থিতিতে অনুযায়ী বড় শট খেলতেই হতো।পন্থকে দোষ দিতে চাই না। এই ফরম্যাটে ও বিশ্বমানের ব্যাটসম্যান। মাঝে মাঝে স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে দিতে হয়।
হারের হতাশার সঙ্গে বেশ কিছু লজ্জার রেকর্ডও গড়ল ভারত। দেশের মাটিতে টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে এটি ভারতের সর্বনিম্ন স্কোর। এর আগে ২০০৬ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১০০ রানেই সমাপ্ত হয়েছিল ভারতের ইনিংস।
কইসঙ্গে সর্বনিম্ন রান ডিফেন্ড করে জয়— এটি দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রান ডিফেন্ড করে জয়। এর আগে ১৯৯৪ সালে সিডনিতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ১১৭ রান ডিফেন্ড করেছিল তারা।
ইডেনে হারের ফলে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের(WTC Points Table )পয়েন্ট টেবিলে চতুর্থ স্থানে নেমে গিয়েছে ভারত। ২০২৫-২৭ চক্রে এখন পর্যন্ত ৮ ম্যাচ খেলেছে ভারত। এর মধ্যে ৪ টেস্টে জয় পেলেও তিনটিতে হেরে গিয়েছে গম্ভীরের দল। ভারতের পয়েন্টের শতাংশের হার ৫৫.৫৬ থেকে নেমে ৫৪.১৭-তে পৌঁছেছে।
–
–
