বিজেপির বিরুদ্ধে উ.স্কানির অভিযোগ, মহিষাদলে সমবায়ের অনুষ্ঠানে ধু.ন্ধুমার

প্রথমে বচসা তারপর হাতাহাতি, তারপরে শুরু হয় চেয়ার ছোঁড়াছুড়ি।দুপক্ষ চেয়ার নিয়ে পরস্পরের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে।

পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদল সমবায়ের অনুষ্ঠানে ধুন্ধুমার।সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লেন দুদলের সমর্থকরা। বিধায়কের সামনে দু পক্ষের চেয়ার ছোঁড়াছুড়ি। জখম হয়েছেন কমপক্ষে ১৫ জন। কেশবপুরে ঝামেলার সময় বিধায়কের সামনেই চেয়ার ছুড়ে শুরু হয় মারপিট। তাতেই জখম হয়েছেন বেশ কয়েকজন।অভিযোগ, গণ্ডগোলের সূত্রপাত বিজেপির উস্কানিকে ঘিরে। প্রথমে বচসা তারপর হাতাহাতি, তারপরে শুরু হয় চেয়ার ছোঁড়াছুড়ি।দুপক্ষ চেয়ার নিয়ে পরস্পরের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে।

শেষ পর্যন্ত পুলিশ সামাল দেয় পরিস্থিতি।শান্তি রক্ষার্থে চলছে মাইকিং। সোমবার থেকে রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে সমবায়ের শতবর্ষ উদ্‌যাপন। মহিষাদলের কেশবপুরের জালপাই সমবায়েও অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে গিয়েছিলেন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী-সহ ব্লক ও জেলা স্তরের প্রশাসনিক ও ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি। কিন্তু অনুষ্ঠানে ডাক পাননি বিজেপি পরিচালিত ইটামগরা ২ পঞ্চায়েতের প্রধান রামকৃষ্ণ দাস। দুপুরে অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার পরেই রামকৃষ্ণ তাঁর অনুগামীদের নিয়ে মঞ্চের সামনে এসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যরা বিক্ষোভ দেখানোর সময়ই ঝামেলা শুরু হয়।

তৃণমূল বিধায়ক তিলক বলেন, সমবায়ের অনুষ্ঠানে কাকে ডাকা হবে, তা স্থির করে সেখানকার নির্বাচিত বোর্ড। শতাব্দীপ্রাচীন এই সমবায়ের অনুষ্ঠান চলাকালীন যে ভাবে অশান্তি ছড়াল বিজেপি, তা নজিরবিহীন।তাঁর আরও অভিযোগ, বিজেপি তো এখন সব জায়গায় গন্ডগোল করছে। বিরোধী দলনেতার নির্দেশেই গুটিকয়েক লোক এ সব করেছে।

Previous articleমঙ্গলে শুরু BGBS: চলছে শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতি, একনজরে অতিথি তালিকা
Next articleনিখুঁত পরিকল্পনার পর হামলা, কে এই সিনওয়ার? যাকে হন্যে হয়ে খুঁজছে ইজরায়েল