জয়নগরের (Jaynagar) দলুয়াখাকির একাধিক বাড়িতে ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের (Fire) ঘটনার ৭ দিন পর পুলিশের জালে তিন অভিযুক্ত। রবিবার রাতে তিন জনকে গ্রেফতার (Arrest) করেছে পুলিশ। ধৃতদের নাম নজরুল মণ্ডল, আকবর ঢালি এবং আমানুল্লাহ জমাদার। এরা প্রত্যেকেই দলুয়াখাকির বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, লুঠপাট-সহ একাধিক অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে।

গত সোমবার বামনগাছির পঞ্চায়েতের তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্করের খুনের পর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দলুয়াখাকি গ্রাম। অভিযোগ ওঠে সিপিএমের বিরুদ্ধে। সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীরা কমপক্ষে ২০-২৫ টি বাড়িতে ভাঙচুর এবং লুটপাট চালায় বলে অভিযোগ। তবে শুধু এখানেই শেষ নয়, পরিবারের মহিলাদেরও বেধড়ক মারধরের অভিযোগ সামনে এসেছে। এরপর তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিনকে খুনের মামলার পাশপাশি ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আলাদা মামলা রুজু করে পুলিশ। সেই মামলাতেই এবার ৩ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
গত সোমবার বাড়ির অদূরেই মসজিদে নমাজ পড়তে যাচ্ছিলেন জয়নগর থানার বামনগাছি এলাকার তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন। মসজিদের সিঁড়িতে পা রাখতেই তাঁকে গুলি চালিয়ে পালায় দুষ্কৃতীরা। পরে স্থানীয়রা রক্তাক্ত দেহ নিয়ে হাসপাতালে গেলেও বাঁচানো যায়নি সইফুদ্দিনকে। আর তারপরেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তবে এদিন ঘটনার পর সইফুদ্দিনকে গুলি করে পালানোর সময় দু’জন ধরা পড়ে যায় স্থানীয়দের হাতে। অভিযোগ, সাহাবুদ্দিন নামে তাঁদের এক জনকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। অন্যজন, শাহরুল শেখকে জখম অবস্থায় উদ্ধার করে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে গ্রেফতার করা হয় আনিসুর লস্কর এবং কামালউদ্দিন ঢালি নামে আরও দুই অভিযুক্তকে।
