বিধানসভায় পাশ হলেও কেন আটকে বিল? রাজ্যপালদের ধ.মক সুপ্রিম কোর্টের, কেন্দ্রের কাছে জবাব তলব

শুধু তামিলনাড়ুই নয় আরও বেশ কয়েক রাজ্যের রাজ্যপালও শীর্ষ আদালতের ভর্ৎসনার মুখে পড়েছেন। তাঁদের মধ্যে সবার আগে উঠে আসছে কেরলের (Kerala) রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খানের নামও।

রাজ্য বিধানসভায় (Assembly) পাশ হলেও সেই বিলে সই করেননি রাজ্যপাল (Governor)। এরপর সেই বিল (Bill) ৩ বছরের বেশি সময় ধরে ঝুলিয়ে রেখে কীভাবে তা ফেরত পাঠানো যায়? তা নিয়েই এবার প্রশ্ন তুলল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court of India)। ঘটনাকে কেন্দ্র করে বড়সড় অস্বস্তিতে পড়েছেন তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল (Tamil Nadu Governor) আর এন রবি (R N Ravi)। মঙ্গলবার দেশের শীর্ষ আদালত এদিন প্রশ্ন তোলে এতদিন পেরিয়ে গেলেও কেন বিধানসভায় পাশ হওয়া বিলে সই করেননি রাজ্যপাল রবি? এদিন মামলাটি শুনানির জন্য সুপ্রিম কোর্টে উঠলে দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের (DY Chandrachud) নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, তামিলনাড়ু বিধানসভা ফের নতুন করে ১০টি বিল পাশ করিয়েছে। তবে এবারও সেই পাশ হওয়া বিলে তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল সই করেন কী না সেদিকে নজর থাকবে। পাশাপাশি এদিন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ সাফ জানতে চায় বিগত ৩ বছর ধরে রাজ্যপাল কী করছিলেন?

তবে সংবিধান অনুযায়ী দ্বিতীয়বার বিধানসভায় পাশ করানো বিলকে অর্থ বিল হিসাবে বিবেচনা করতে হয় সে কথাও মনে করিয়ে দেন প্রধান বিচারপতি। শুধু তামিলনাড়ুই নয় আরও বেশ কয়েক রাজ্যের রাজ্যপালও শীর্ষ আদালতের ভর্ৎসনার মুখে পড়েছেন। তাঁদের মধ্যে সবার আগে উঠে আসছে কেরলের (Kerala) রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খানের (Arif Md Khan) নামও। অন্যদিকে, শুধুমাত্র তামিলনাড়ু বা কেরল নয়, বাংলার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও বিল পাশ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে জোর করে সংঘাতে জড়িয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধেও রাজ্যের পাঠানো একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিল আটকে রাখার অভিযোগ বারবার সামনে এসেছে। তবে এখনও রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কোনও মামলা করেনি রাজ্য। সরকারি সূত্রের খবর, রাজ্যের বিগত ১২ বছরে পাশ হওয়া ২২টি বিল রাজভবনে আটকে আছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই ব্যাপারে বারবার সরব হয়েছেন।

এদিকে কেরলের রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খানের বিরুদ্ধে সিপিএমের দায়ের করা মামলায় প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ সোমবার মোদি সরকারের জবাব তলব করে। কেরলের রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সাতটি বিল আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে। ধারা অনুযায়ী বিল পুনর্বিবেচনার জন্য সরকারের কাছেও পাঠাতে পারেন রাজ্যপাল। কিন্তু বিল ফেরত না পাঠিয়ে রাজ্যপাল তাঁর সম্মতি আদৌও আটকাতে পারেন কীনা, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে আদালত। শুধু তামিলনাড়ু রাজ্যপাল নন, কেরালা ও পাঞ্জাবের রাজ্যপালের বিরুদ্ধে বিল আটকে রাখার অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা হয়েছে মামলা। ইতিমধ্যে পাঞ্জাবের রাজ্যপাল বনোয়ারিলাল পুরোহিতকে বিল আটকে রাখার জন্য তীব্র ভর্ৎসনা করেছে সুপ্রিম কোর্ট।

 

 

 

 

Previous articleEntertainment: এমিতে মুখ উজ্জ্বল করলেন একতা, পুরস্কার জিতলেন বীর দাস!
Next articleকাতারের মধ্যস্ততায় শীঘ্রই ইজরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তি: বার্তা হামাস প্রধানের