শনিতে রাজস্থানে বিধানসভা নির্বাচন, এখন গোষ্ঠীদ্ব.ন্দ্বের ঝ.ড় মরুরাজ্যে!

লোকসভা নির্বাচনের আগে পাঁচরাজ্যে চলছে বিধানসভা নির্বাচন। আর সেই নির্বাচন অ্যাসিড টেস্ট সব দলের ক্ষেত্রে। শনিবার, রাজস্থানে ২০০ আসনে এক দফাতেই ভোটগ্রহণ। ক্ষমতাসীন কংগ্রেস বা বিরোধী বিজেপি (BJP)-কেউই মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে কাউকে তুলে ধরতে পারছে না। আর তার প্রধান কারণ হল গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। এদিকে কংগ্রেসে ভাগাভাগি অশোক গেহলট আর শচীন পাইলটের (Sachin Pilot) শিবিরে। আর বিজেপিতে বসুন্ধরা রাজে আর তার বিরোধী গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ।

কংগ্রেসের দ্বন্দ্বের মধ্যে জাত-পাতের বিভেদ তুলে ঘোলাজলে মাছ ধরতে চাইছে বিজেপি। শেষদিনের প্রচারে এই নিয়ে সরব হন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। কংগ্রেসের নেতা প্রয়াত রাজেশ পাইলটের প্রতি অবিচারের ও তাঁর ছেলে শচীন পাইলটকে (Sachin Pilot) কোণঠাসা করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন মোদি। শচীনকে গুর্জরদের প্রতিনিধি বলে সহানুভূতি টানার চেষ্টা করেছেন। তিনি বলেন, গুর্জর সমাজের এক ছেলে দলগত প্রাণ। অথচ ক্ষমতা পেয়েই শাহি পরিবারের নির্দেশে তাঁকে দুধ থেকে মাছি তোলার মতো ফেলে দিয়েছে। ওঁর বাবার সঙ্গেও একই ব্যবহার হয়েছে।

এর জবাব দিয়েছেন অশোক গেহলট। বলেন, ’’রাজেশ পাইলটের নাম করে গুর্জরদের উস্কানি দিতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী। বিজেপি সরকারের আমলে ২০০৮ সালে গুর্জরদের উপরে ২২ বার গুলি চলেছে। ৭২ জন গুর্জর প্রাণ হারিয়েছেন।’’ মোদিকে আক্রমণ করেন শচীনও। তাঁর কথায়, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর কথার সঙ্গে বাস্তব তথ্যের কোনও মিল নেই। রাজেশ পাইলট ইন্দিরা গান্ধীর অনুপ্রেরণায় জনসেবার জন্য কংগ্রেসে যোগ দেন। আজীবন সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে লড়েছেন।‘‘ এরপরেই সরাসরি তোপ দেগে শচীন বলেন, আমার বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিয়ে মোদিজির চিন্তা করার প্রয়োজন নেই।

এদিকে ভোটের মুখে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব জেরবার বিজেপি। মরুরাজ্যে এখন কোণঠাসা বসুন্ধরা রাজে (Vasundhara Raje)। তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে তুলে ধরে প্রচার করেনি গেরুয়া শিবির। শুধু তাই নয়, তাঁর ডজন-ডজন অনুগামীকে টিকিট দেয়নি। বসুন্ধরা-অনুগামী ইউনুস খানকে এবার প্রার্থী করেনি গেরুয়া শিবির। এতে প্রবল চটেছেন বসুন্ধরা। নির্দল প্রার্থী হিসাবে ভোটে দাঁড়িয়েছেন ইউনুস। কিন্তু কেন টিকিট নয় ইউনুসকে? ২০১৮-তে টঙ্ক আসনে তৎকালীন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শচীন পাইলটের বিরুদ্ধে তাঁকে প্রার্থী করে বিজেপি। কিন্তু জিততে পারেননি ইউনুস। এ বার পুরনো আসন দিদওয়ানাতেও তাঁকে টিকিট দেয়নি গেরুয়া শিবির। তবে শুধু ইউনুস নন, বসুন্ধরা অনুগামী ডজন দুয়েক নেতাকে টিকিট দেয়নি বিজেপি। অনেকেই দাঁড়িয়েছেন নির্দল হিসেবে। এরাই এখন মাথা ব্যথার কারণে পদ্ম-শিবিরের।

Previous articleফের বা*ধা,সুড়ঙ্গ থেকে উ*দ্ধারে আরও কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা!
Next articleআদানি-হিন্ডেনবার্গ মামলার শু*নানি শেষে রায় সংর*ক্ষণ শীর্ষ আদালতের!