১৩ দিন পেরিয়ে গেল, উত্তরকাশীর নির্মীয়মাণ অন্ধকার সুড়ঙ্গে (Under Construction Tunnel in Uttarkashi) এখনও আটকে ৪১ জন শ্রমিক। বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে সকলকে উদ্ধার করার কথা থাকলেও, শেষ অবধি তা হয়নি। এমনকি শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত যা আপডেট তাতে আরও কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে। কালঘাম ছুঁটছে উদ্ধারকারী দলের। ক্ষত ভাবে শ্রমিকদের উদ্ধার করা হবে এই আশায় বুক বেঁধেছে গোটা দেশ। কিন্তু ট্রায়াল সম্পন্ন হলেও শ্রমিকদের বের করে আনতে আবারও বাধা! খানিক দূরেই থমকাল খননযন্ত্র। প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণেই শেষ মুহূর্তে আটকে গেল কাজ। যে কাঠামোর উপর যন্ত্রটি রাখা হয়েছিল সেখানে সমস্যা দেখা গেছে বলে উদ্ধারকারী দলের (Rescue Team)তরফে জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বাধার সম্মুখীন হয়েছিল উদ্ধারকারী দল। খননের জন্য আনা আমেরিকার যন্ত্রটির ব্লেড বিকল হয়ে গিয়েছিল। তা মেরামত করতে হয়। NDMA-এর লেফটেন্যান্ট জেনারেল সৈয়দ আতা হাসনাইন এদিন সকালেই বলেন, এটা চ্যালেঞ্জিং কাজ। আগামী দুঘন্টার মধ্যে উদ্ধার কাজ করা হবে বলে প্রচার করা উদ্ধার কর্মীদের উপর চাপ সৃষ্টি করছে। এটা ভুল। এনএইচআইডিসিএলের এমডি মাহমুদ আহমেদ বলেন,’আমরা ২২ নভেম্বর ৪৫ মিটার পাইপ ঢুকিয়েছিলাম। এর পর একটি গার্ডার বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। সেজন্য খননযন্ত্রটি বন্ধ করতে হয়েছিল। আমরা বিশেষজ্ঞদের সাহায্যে গার্ডারটি কাটতে পেরেছি। কিন্তু যন্ত্র যেখানে রাখা হয়েছিল সেখানে সমস্যা তৈরি হয়েছে। গত ১২ নভেম্বর উত্তরকাশীর ব্রহ্মতাল-যমুনোত্রী জাতীয় সড়কের উপর সিল্কিয়ারা ও ডন্ডালহগাঁওের মধ্যে নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গের একাংশ ধসে পড়ে আটকে পড়েন ৪১ জন শ্রমিক। বুধবার রাত থেকেই সুড়ঙ্গের বাইরে অপেক্ষা করছে ২০টি অ্যাম্বুল্যান্স । সাহায্য নেওয়া হচ্ছে মার্কিন সুড়ঙ্গ বিশেষজ্ঞ আর্নল্ড ডিক্সের। বৃহস্পতিবার সন্ধেয় উত্তরাখণ্ড সরকার জানিয়ে দেয়, এক্ষেত্রে কোনও তাড়াহুড়ো করা হবে না। ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি। তবে আজ রাতের মধ্যে শ্রমিকদের নিরাপদে বের করে আনা যাবে কি না, তা নিয়েও নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না।
