উত্তরাখণ্ডে বৃষ্টি ও তুষারপাতের পূর্বাভাস, ফের বাধার মুখে উদ্ধারকাজ

১৬ দিন ধরে উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে আটকে রয়েছেন ৪১ জন শ্রমিক। তাঁদের উদ্ধার করতে বারবার বাধার মুখে পড়তে হয়েছে। নতুন করে ফের জোর কদমে উদ্ধারের কাজ শুরু হলেও ফের আসতে চলেছে বাধা। তবে এবার আর যান্ত্রিক নয় প্রাকৃতিক। আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে উত্তরাখণ্ডের বিস্তীর্ণ অংশে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। হাওয়া অফিসের তরফে বলা হয়েছে, পর্বতে ঘেরা এই রাজ্যের চার হাজার মিটার উচ্চতায় তুষারপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে রাজ্যের কোনও কোনও অংশে তাপমাত্রা নেমে আসতে পারে ৪ ডিগ্রিতে। প্রচণ্ড ঠান্ডা ও বৃষ্টির কারণে আশঙ্কা করা হচ্ছে ব্যহত হতে পারে উদ্ধারকাজ। তবে উদ্ধারকাজে যুক্ত সরকারি সংস্থা এনএইচআইডিসিএল-এর তরফে সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে জানানো হয়েছে যে, প্রশিক্ষিত উদ্ধারকারী সব পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে প্রস্তুত। তাই ভয় পাওয়ার কিছু নেই।

দু’দিক থেকে সুড়ঙ্গে আটকে থাকা শ্রমিকদের কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা করা হচ্ছে। উপর থেকে উল্লম্ব ভাবে খোঁড়া শুরু হয়েছে রবিবারই। যন্ত্রাংশ সরানোয় সোমবার সামনের দিক থেকে খোঁড়ার কাজও শুরু হয়ে যাবে। সামনের দিক থেকে যন্ত্রের মাধ্যমে অধিকাংশ রাস্তাই খোঁড়া হয়ে গিয়েছে। বাকি কেবল ১০ থেকে ১২ মিটার। গাঁইতি-শাবল দিয়ে খুঁড়ে সেই রাস্তা অতিক্রম করে ফেলতে চান উদ্ধারকারীরা। এ ছাড়া, উল্লম্ব ভাবে খুঁড়ে আটকে থাকা শ্রমিকদের কাছে পৌঁছনোর জন্য মোট ৮৭ মিটার পথ খোঁড়া দরকার। রবিবার প্রথম দিকে ২০ মিটার পর্যন্ত খোঁড়া হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে মোট ৩৭ মিটার পর্যন্ত খোঁড়া হয়ে গিয়েছে। বড় কোনও বিপদ না হলে বৃহস্পতিবারের মধ্যেই সেই পথ অতিক্রম করা সম্ভব বলে আশাবাদী কর্তৃপক্ষ। তার মধ্যেই আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস উদ্ধারকারীদের কপালে ভাঁজ ফেলেছে।

উল্লেখ্য, উদ্ধারকাজে সবচেয়ে বড় বাধা আসে গত শুক্রবার। সুড়ঙ্গ খোড়ার কাজে ব্যবহৃত ২৫ টন ওজনের আমেরিকান যন্ত্র লোহার কাঠামোয় আটকে ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। কিছু কিছু যন্ত্রাংশ ভিতরেই আটকে ছিল। তা না সরানো পর্যন্ত সুড়ঙ্গের ওই অংশে আর হাতই দেওয়া যাচ্ছিল না। যন্ত্রটিও আর মেরামত করা সম্ভব নয় বলে জানানো হয়েছে। এদিকে সময় যত গড়াচ্ছে উদ্বেগ তত বাড়ছে। শ্রমিকদের স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখতে ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছে রোবট।