আজকের দিনে কী কী ঘটেছিল? চলুন দেখে নেওয়া যাক

১৯৪০
ব্রুস লি
(১৯৪০-১৯৭৩) এদিন জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর নাম শুনলেই তেজ আর ক্ষিপ্রতার কথা মনে আসে। মার্শাল আর্টের বাদশা ব্রুস লি একজন এশীয় অভিনেতা হিসাবে একাই হলিউড কাঁপিয়েছিলেন। পুরো নাম ব্রুস ইয়ুন ফান লি। জন্ম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সানফ্রান্সিসকোতে হলেও গায়ে বইছিল চিনা রক্ত। শৈশব থেকে শুরু করে জীবনের বেশির ভাগ সময় কেটেছে হংকংয়ে। ছোটবেলা থেকেই তিনি সিনেমা ও টিভিতে শিশুশিল্পী হিসেবে কাজ করেন। বারো বছর বয়সে একদিন রাস্তার কিছু বখাটে ছেলে শত্রুতাবশত তাঁকে মারধর করে। আর এ ঘটনাটাই আমূল পাল্টে দেয় তাঁর জীবন, সেই সঙ্গে মার্শাল আর্ট আর বিশ্ব চলচ্চিত্রের ভবিষ্যৎও। পরবর্তী সময়ে মনপ্রাণ ঢেলে মার্শাল আর্টে তালিম নেন তিনি। এই প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার আয়ু মাত্র পাঁচ বছর। এই শিল্পে যোগ করেন নিজস্ব ধাঁচের কুংফু কৌশল। মার্শাল আর্টের সঙ্গে আরও অনেক শারীরিক কলা জুড়ে দিয়ে তৈরি করেন নতুন আর্ট ‘জিৎ কুনে দো’। নাচে দক্ষ লি ১৮ বছর বয়সে জাতীয় প্রতিযোগিতায় হংকংয়ের ঐতিহ্যবাহী চা-চা নাচের জন্য শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেন। দ্য বিগ বস, ফিস্ট অফ ফিউরি, দ্য ওয়ে অফ দ্য ড্রাগন, এন্টার দ্য ড্রাগন ইত্যাদি ব্রুস লি অভিনীত ছবিগুলির মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ‘এন্টার দ্য ড্রাগনে’র প্রিমিয়ারের কিছুদিন আগে হঠাৎ হংকংয়ে মারা যান ব্রুস লি। মাত্র ৩২ বছর বয়সে। তাঁর মৃত্যুরহস্য আজও অমীমাংসিত। কেউ বলে ড্রাগ ওভারডোজ, কেউ বলে বিষ খাওয়ানো হয়েছিল।

১৮৮৮
রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর
(১৮৮৮-১৯৬১) এদিন জন্মগ্রহণ করেন। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের পুত্র। পিতার প্রয়াণের পর শান্তিনিকেতনের সর্বাধ্যক্ষ ছিলেন। বিবিধ কারুশিল্পে, চিত্রাঙ্কনে, উদ্যান-রচনায়, উদ্ভিদের উৎকর্ষবিধানে বিশেষ দক্ষ ছিলেন। বিশ্বভারতী কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার পর তিনি ছিলেন এটির প্রথম উপাচার্য।

১৯৮৪

অসিতবরণ মুখোপাধ্যায়
(১৯১৩-১৯৮৪) এদিন প্রয়াত হন। চলচ্চিত্র জগতের খ্যাতনামা নায়ক ও গায়ক। প্রথম নায়ক হিসেবে অভিনয় করেন ‘কাশীনাথ’-এ। হিন্দি ‘পরিণীতা’ ছবি থেকে নায়ক হিসেবে তিনি সর্বভারতীয় স্বীকৃতি লাভ করেন। ‘ওয়াপস’ ছবিতে তাঁর গাওয়া গান ‘হাম কোচওয়ান, হাম কোচওয়ান’ তাঁকে রাতারাতি বিখ্যাত করে দেয়। প্রায় একশোটি ছবিতে অভিনয় করেছেন অসিতবরণ।

১৯৫২

বাপ্পি লাহিড়ী
(১৯৫২-২০২২) এদিন জলপাইগুড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। ডিস্কো ড্যান্সার, নমক হালাল ও শরাবীর মতো বিভিন্ন চলচ্চিত্রে সংগীত পরিচালনা করে তিনি সমাদৃত হন। ভারতীয় ধাঁচে ডিস্কো সংগীত পরিবেশন করতেন।

১৮২৮

যতীন্দ্রমোহন বাগচী
(১৮২৮-১৯৪৮) এদিন জন্মগ্রহণ করেন। অল্প বয়স থেকে কবিতা লিখতেন। রবীন্দ্রোত্তর যুগের এই শক্তিমান কবি কিছুদিন ‘মানসী’ ও ‘যমুনা’ পত্রিকার সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেন। উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ ‘লেখা’, ‘নাগকেশর’, ‘পথের সাথী’, ‘নীহারিকা’ ইত্যাদি।

১৯০৭
হরিবংশ রাই বচ্চন (১৯০৭-২০০৩) এদিন ব্রিটিশ ভারতের সংযুক্ত প্রদেশের অন্তর্গত প্রতাপগড় জেলার বাবুপট্টি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বিংশ শতাব্দীর সূচনালগ্নে হিন্দি সাহিত্যে যে আবেগধর্মী কবিতার জোয়ার এসেছিল সেই সাহিত্য-বিপ্লবের অন্যতম মুখ ছিলেন হরিবংশ। তাঁর তিনটি বিশিষ্ট সৃষ্টি ‘মধুশালা’, ‘মধুবালা’ ও ‘মধুকলস’— এই কাব্যত্রয়। তাঁর বড় ছেলে অমিতাভ বচ্চন, বলিউডের বিগ বি।

২০০৮

বিশ্বনাথ প্রতাপ সিং (১৯৩১-২০০৮) এদিন প্রয়াত হন। তিনি ছিলেন ভারতের অষ্টম প্রধানমন্ত্রী। ১৯৮৯ সালের নির্বাচনে, জাতীয় মোর্চা বিজেপির সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করে। সেই সরকারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বিশ্বনাথ প্রতাপ। ১৯৯৬-এর পর রাজনীতি থেকে অবসর নেন।

 

 

 

 

Previous articleএকনজরে আজকের পেট্রোল-ডিজেলের দাম 
Next articleঘুচতে চলেছে সিঙ্গল তকমা! সোমেই সাত পাকে বাঁধা পড়ছেন পরম-পিয়া