বিজেপিকে নি.শানা করে ব্য.ঙ্গচিত্রে প্রধানমন্ত্রীকে ক.টাক্ষ তৃণমূলের

প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে নরেন্দ্র মেদির কোটি কোটি টাকার সাজ-পোশাক, ঘন ঘন বিদেশ যাত্রা নিয়েও প্রচুর বিতর্ক হয়েছে।বিরোধীদের অভিযোগ, নিজেকে জননেতা হিসেবে তুলে ধরতে তিনি সম্পূর্ণ ব্যর্থ। দেশবাসীকে একের পর এক প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসা মোদির ‘জুমলা’ ধরে ফেলেছেন মানুষ।অভিযোগ, দেশের একের পর এক লাভজনক রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্থা বিক্রি করে দিচ্ছে কেন্দ্র। দেশজুড়ে বাড়ছে বেকারত্ব, কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর আত্মকেন্দ্রিক চটকদার, চমকদার প্রচারে খরচ হচ্ছে কোটি কোটি টাকা। ফুলেফেঁপে উঠছে শুধু বিজেপির কোষাগার।

যদি পশ্চিমবঙ্গের কথাই ধরা হয়, তাহলে দেখা যাচ্ছে কেন্দ্রের বঞ্চনা ও বিমাতৃসুলভ আচরণ। ১০০ দিনের কাজ করেও কয়েক লক্ষ প্রান্তিক-গরিব মানুষ তাঁদের ন্যায্য পাওনা পাচ্ছেন না। আটকে দেওয়া হয়েছে আবাস যোজনার টাকাও। শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে বাংলার গরিব মানুষকে ভাতে মারতে চাইছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। অথচ, বাংলা থেকে টাকা নিয়ে চলে যাচ্ছে দিল্লি। আসলে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে মোদি এ রাজ্যে ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করলেও লুটেরার অভিনয়ে ভোলেনি বাংলার রাজনৈতিক সচেতন মানুষ। তাই বাংলার প্রাপ্য বকেয়া আটকে রেখেছে কেন্দ্র।

অন্যদিকে, তৃণমূল নিজেদের সাধ্যমতো বঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁদের দিকে আর্থিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। তৃণমূল প্রধানমন্ত্রীকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছে, “বাংলার ১০০দিনের কাজের প্রাপ্য বকেয়া এখনও আটকে রেখেছে কেন্দ্র”! সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী পরামর্শ “ভারতের পয়লা নম্বর লুটেরা হওয়া বন্ধ করুন”!

এদিন তৃণমূলের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রীর একটি ছবি দিয়ে কটাক্ষ করা হয়েছে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী একটি সাইকেলে বসে পোজ দিচ্ছেন। ঠিক যেন সিনেমার পোস্টার। সেখানে বিজেপিকে ব্যঙ্গ করে লেখা হয়েছে ভারতীয় জুমলা পার্টি। যাঁরা চিত্রনাট্যকে তুলে ধরছে। প্রোডাকশনের দায়িত্বে প্রধানমন্ত্রীর দফতর। “লুটেরা” চিত্রনাট্যের মুখ্য চরিত্রে প্রধানমন্ত্রী মোদি। এবং স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী এই চিত্রনাট্যর পরিচালক।

Previous articleপ্রকাশিত হল কলকাতা বইমেলার থিম কান্ট্রির নাম, একযুগ পর বিশেষ চমক!
Next articleপাক অভিনেতাদের ভারতে অভিনয়ে নিষে*ধাজ্ঞা নয়: সুপ্রিম কোর্ট