ল.জ্জা! মায়ের মদতেই দুই মেয়ের উপর না.রকীয় অ.ত্যাচার, চরম শা.স্তি আদালতের

সরকার পক্ষের আইনজীবী আর এস বিজয় মোহন মামলার শুনানি চলাকালীন বলেন, অভিযুক্ত মহিলা তিরুঅনন্তপুরমের বাসিন্দা। অভিযোগ, দিনের পর দিন তাঁর নিজের মেয়েদের নিয়ে গিয়েছেন তাঁর প্রেমিকদের কাছে।

একজন শিশুর কাছে তাঁদের মা-ই (Mother) সবকিছু। কিন্তু সেই মা যে এমন এক ঘৃণ্য কাজ করতে পারেন তা হয়তো নিজেদের কানে না শুনলে বিশ্বাসই করতে পারবেন না। তেমনই এক ঘটনায় ফের দেশবাসীর কাছে লজ্জায় মাথা হেঁট হল কেরলার (Kerala)। আর মায়ের এমন কীর্তিতে তাঁকেও চরম শাস্তির সাজা দিয়েছে সেই রাজ্যের স্পেশাল ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট (Special Fast Track Court)। তবে সোমবার রায়দানের আগে আদালতের চরম ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয় অভিযুক্ত মাকে। এদিন বিচারক ভরা আদালতে সাফ জানান, ‘‘ইনি কোনও রকম ক্ষমা পাওয়ার যোগ্য নয়। মাতৃত্বের নামে আদ্যোপান্ত লজ্জা এই মহিলা। তাই এঁকে কঠিনতম শাস্তি দেওয়া হল।’’ এরপরই বিচারক মহিলাকে ৪০ বছরের কঠোর কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকার জরিমানা করেছেন।

কী অভিযোগ মায়ের বিরুদ্ধে?

এদিন সরকার পক্ষের আইনজীবী আর এস বিজয় মোহন মামলার শুনানি চলাকালীন বলেন, অভিযুক্ত মহিলা তিরুঅনন্তপুরমের বাসিন্দা। অভিযোগ, দিনের পর দিন তাঁর নিজের মেয়েদের নিয়ে গিয়েছেন তাঁর প্রেমিকদের কাছে। তবে এখানেউ ক্ষান্ত থাকেননি ওই মা। অভিযুক্ত মায়ের উপস্থিতিতেই নাবালিকা দুই মেয়েকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন তাঁর দুই প্রেমিক। ২০১৮ সালের মার্চ থেকে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত দুই মেয়েকে লাগাতার ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। আদালতকে ওই আইনজীবী জানিয়েছেন, ওই মহিলার দুই মেয়ের এক জনের বয়স ১২। অপরজনের বয়স মাত্র ৮ বছর। বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেও মানসিক ভাবে অসুস্থ স্বামীকে ছেড়ে দুই মেয়েকে নিয়ে প্রেমিকের কাছে এসে থাকতে শুরু করেন ওই মহিলা। এরপর বড় মেয়ের বয়স যখন মাত্র ৭ বছর সেই সময় প্রথম প্রেমিক শিশুপালনের হাতেই যৌন হেনস্থার শিকার হয়। পুরো ঘটনাটি সে মাকে জানালেও তাঁর সম্মতিতেই চলতে থাকে নারকীয় অত্যাচার।

এরপর বাধ্য হয়েই বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় ওই নাবালিকা। বিষয়টি নিজের দিদাকে জানায় সে। তিনিই নাতনিকে শিশুদের হোমে পাঠিয়ে উদ্ধার করেন। কিন্তুএর পর ছোট মেয়ের উপরেও শুরু হয় একই অত্যাচার। আইনজীবী জানিয়েছেন, প্রথম প্রেমিক শিশুপালনের পর দ্বিতীয় প্রেমিকের কাছেও এই মেয়েটিকে নিয়মিত নিয়ে যেতেন মা। তাঁর উপস্থিতিতেই ধর্ষণ এবং যৌন হেনস্থা করা হত নাবালিকাকে। এরপর পুরো ঘটনাটি নিজের দিদাকেই জানায় ছোট বোন। এরপরই পুলিশের দ্বারস্থ হয়ে মায়ের পুরো কুকীর্তি সামনে আনেন দিদা। তবে পুলিশ এই ঘটনায় শিশুপালন এবং অভিযুক্ত মায়ের বিরুদ্ধে মামলা করে। কিন্তু শুনানি চলাকালীন শিশুপালন আত্মহত্যা করায় শুধুমাত্র মায়ের বিরুদ্ধেই চলছিল মামলা। শেষমেশ সোমবার আদালত মোট ২২ জন সাক্ষী এবং ৩৩টি নথির বিচার করে এই মামলায় সাজা শুনিয়েছে।

 

 

 

 

Previous articleকেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে বিধানসভায় আম্বেদকর মূর্তির সামনে ধর্না তৃণমূলের
Next articleপণবন্দিদের মুক্তির বিনিময়ে আরও ৪৮ ঘণ্টা সংঘর্ষবিরতির মেয়াদ বাড়ল গাজায়