ধর্মতলায় বিজেপির ফ্লপ-শো: শ.হিদদের অ.পমান করে দিশাহীন বক্তব্য শাহের

বিজেপির সভামঞ্চে খুব একটা ভিড় যে হবে না তা দিনের শুরুতেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল ফাঁকা ট্রেন, বাস, মেট্রো দেখে। জমায়েত জমবে না বুঝতে পেরে মঞ্চের সামনের জায়গা ছোট করে ফেলেছিল বিজেপি।

কলকাতায় (Kolkata) অমিত শাহের (Amit Shah) সভার জন্য বিজেপি বেছে নিয়েছিল ধর্মতলায় (Dharmatala) তৃণমূলের (TMC) শহিদ মঞ্চকে। আয়োজনেরও কোনও খামতি ছিল না। কড়া নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর জন্য মঞ্চ প্রস্তুত হলেও লোকজন কই? ২১ জুলাইয়ের মঞ্চকে চ্যালেঞ্জ করে ডাহা ফ্লপ-শো বঙ্গ বিজেপির (BJP)। ফাঁকা রাস্তায় ছাড় ছাড় লোক দাঁড় করিয়ে আপ্রাণ চেষ্টা চালানো হল ভিড় দেখানোর। কার্যত ফাঁকা মাঠে একে একে ভাষণ দিলেন রাজ্য বিজেপির নেতানেত্রীরা। শাহের জুমলা ভাষণের সময়ও সে চিত্রে বিশেষ পরিবর্তন হল না। কর্মী-সমর্থকদের ‘জোশ’ দেখতে ‘সুনার বাংলা’, ‘জয় শ্রী রাম’ রব তুলে ‘প্রচণ্ড হুংকার’ ছাড়লেন তিনি। যদিও সামনে থাকা ভিড়ের থেকে কোনও প্রতুত্তর এল না। অতপরঃ চোর-চিটিংবাজ, গদ্দার, ঘুষখোরদের পাশে বসিয়ে ভুলে ভরা, বিভ্রান্তিকর, তথ্য গোপনের নোট পড়ে বাংলা বিরোধী, দিশাহীন, অন্তঃসার শূণ্য ও আত্মঘাতী বক্তব্য রেখে মঞ্চ ছাড়েন হতাশ শাহ।

বিজেপির সভামঞ্চে খুব একটা ভিড় যে হবে না তা দিনের শুরুতেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল ফাঁকা ট্রেন, বাস, মেট্রো দেখে। জমায়েত জমবে না বুঝতে পেরে মঞ্চের সামনের জায়গা ছোট করে ফেলেছিল বিজেপি। সামনে চেয়ার দিয়ে ভরিয়ে জায়গা কমানোর চেষ্টা হয়। এছাড়া মঞ্চের সামনে, পাশে, পিছনে, চওড়া রাস্তায় সেভাবে কোনও জমায়েত নেই। মঞ্চের সামনে ছড়া ছড়া লোক দাঁড় করিয়ে ওপর থেকে ড্রোন ক্যামেরায় ভিড় দেখানোর ব্যর্থ চেষ্টা। এমনকি মেট্রো সিনেমা হল পর্যন্তও লোক নেই।

শাহি সভা নিয়ে এদিন তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক থেকে বিজেপিকে ধুয়ে দেয় তৃণমূল। ঘাসফুল শিবিরের তরফে শাহকে একের পর এক তোপ দাগেন রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) ও দুই মন্ত্রী শশী পাঁজা (Sashi Panja) এবং পার্থ ভৌমিক (Partha Bhoumik)। তৃণমূলের (TMC) তরফে কটাক্ষ করে বলা হয়েছে, ২১ জুলাই তৃণমূলের মঞ্চের শুধু পিছনে যে লোক থাকে, বিজেপির সভায় সেটুকুও নেই। অমিত শাহের কাছে মুখ রক্ষার্থে বহিরাগতদের ধরে এনে ভিড় দেখানোর আপ্রাণ চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে বঙ্গ বিজেপির নেতারা। এমনকি বাম-কংগ্রেস সমর্থকদেরও এই সভায় আনা হয়েছে।

 

শুধু তাই নয়, শহিদ তর্পণ পর্যন্ত করলেন না কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। শাহের উচিত বাংলার মানুষের কাছে ক্ষমা চাওয়া। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জর্জরিত বঙ্গ বিজেপিকে চাঙ্গা করতে এসেছিলেন কিন্তু বাংলার বঞ্চিত গরিব মানুষের জন্য একটি বাক্যও ব্যয় করেননি। সবমিলিয়ে আয়োজনে কোনও ত্রুটি না থাকলেও জন সমর্থনের বেহাল দশাটা পরতে পরতে ধরা পড়েছে শাহের সভায়।

 

 

 

Previous articleকোন পথে নিয়োগ মামলার তদন্ত? বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে রিপোর্ট জমা CBI-এর
Next articleদীর্ঘ যু.দ্ধে আর্থিক সঙ্কট, ইউক্রেনকে অ.স্ত্র সরবরাহে রাশ টানছে আমেরিকা-জার্মানি