প্রায় ৪০০ ঘণ্টার অপেক্ষার অবসান। ১৭ দিন ধরে বেঁচে থাকার কঠিন লড়াই চলল উত্তরকাশীর অন্ধকার সুড়ঙ্গে(Uttarkashi tunnel)। অবশেষে মঙ্গলেই সব আশঙ্কা অমঙ্গলের অবসানের পর, সুস্থভাবে টানেল থেকে বেরিয়ে এলেন ৪১ জন শ্রমিক। প্রাথমিক চিকিৎসার পর্যবেক্ষণের জন্য আপাতত হাসপাতালে (Admitted to Hospital)ভর্তি করা হয়েছে তাঁদের।

সুড়ঙ্গ যুদ্ধ শেষে প্রযুক্তি নয়, প্রকৃতির কাছে জয়ী হয়েছে মানুষ। গতকাল সন্ধ্যায় জীবনীশক্তির জয় গান গাইল গোটা দেশ। অনেক অনিশ্চয়তা, আতঙ্ক, আশঙ্কা শেষে সেই সুড়ঙ্গে আটকে পড়া ৪১ কর্মী বেরিয়ে এলেন। একদিকে চোখে জল অন্যদিকে মুখে হাসি এ যেন মুক্তির উল্লাস। ফোনে শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি(Narendra Modi)। বাংলার তিন শ্রমিককে উদ্ধার করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)উদ্যোগে গতকালই দিল্লি থেকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় রাজ্যের প্রতিনিধি দল। উদ্ধার হওয়া প্রত্যেক শ্রমিক সুস্থ আছেন। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন সাড়ে আট মিটার উঁচু এবং প্রায় সাড়ে চার কিলোমিটার দীর্ঘ সুড়ঙ্গে কাজ করার সময় হঠাৎ হুড়মুড়িয়ে ধস নামের থেকে মুক্তির মুহূর্ত পর্যন্ত একাধিক মানসিক ট্রমার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে শ্রমিকদের। সেক্ষেত্রে দেহের বাইরে আঘাত না থাকলেও ইন্টারনাল কোনও সমস্যা হয়েছে কিনা তা বোঝার জন্য কিছুটা সময় শ্রমিকদের পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। তবে প্রত্যেকের পরিবারের লোকের সঙ্গে কথা বলানো সম্ভব হয়েছে। এই উদ্ধার কাজকে দেশের অন্যতম বড় সাফল্য বলে মনে করা হচ্ছে।