আজকের দিনে কী কী ঘটেছিল? চলুন দেখে নেওয়া যাক

১৮৫৮
জগদীশচন্দ্র বসু
(১৮৫৮-১৯৩৭) এদিন ময়মনসিংহে জন্মগ্রহণ করেন। বিশ্ববিশ্রুত পদার্থবিদ ও জীববিজ্ঞানী। পড়াশোনা কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুল ও কলেজে। তাঁর গবেষণাকে তিনটি প্রধান পর্যায়ে ভাগ করা যায়। প্রথম পর্যায়ে তিনি প্রমাণ করেন ক্ষুদ্র বৈদ্যুতিক তরঙ্গেও দৃশ্য-আলোকের সকল ধর্ম বর্তমান। দ্বিতীয় পর্যায়ে তিনি দেখান বৈদ্যুতিক, রাসায়নিক ও যান্ত্রিক উত্তেজনায় ধাতু, উদ্ভিদ ও প্রাণী একইভাবে সাড়া দেয়। তৃতীয় পর্যায়ে ক্রেস্কোগ্রাফ যন্ত্রের সাহায্যে তিনি দেখান অনুত্তেজনীয় উদ্ভিদও বিদ্যুতের আঘাতে সংকুচিত হয়ে সাড়া দেয়। বেতার যন্ত্রের প্রথম উদ্ভাবক হিসাবে তিনি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। যদিও বেতারের আবিষ্কারক হিসাবে বিশ্বে স্বীকৃতিলাভ করেছিলেন মার্কনি, কারণ জগদীশ বসু এটার আবিষ্কারকে নিজের নামে পেটেন্ট করেননি। আবিষ্কার করেছিলেন অতি ক্ষুদ্র বেতার তরঙ্গ, যার থেকে তৈরি হয়েছে আজকের মাইক্রোওয়েভ, যা পরবর্তীতে ‘সলিড স্টেট ফিজিক্স’-এর বিকাশে সাহায্য করেছিল। ১৮৯৬-তে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে ডিএসসি প্রদান করে। ১৯১৪-তে বিজ্ঞানাচার্য ও ১৯১৬-তে স্যার উপাধিতে ভূষিত হন।

১৯৮৪
ইন্দুবালা দেবী (১৮৯৯-১৯৮৪) এদিন প্রয়াত হন। খ্যাতনামা গায়িকা ও অভিনেত্রী। আঠারো বছর বয়সে প্রথম গানের রেকর্ড ‘ওরে মাঝি তরী হেথায়’, ও ‘তুমি এস হে, এস হে’। বাংলা রঙ্গমঞ্চে বহু নাটকে অংশ নিয়েছেন। শিশিরকুমার ভাদুড়ীর সঙ্গে প্রথম অভিনয় ‘প্রফুল্ল’ নাটকে। চলচ্চিত্রে প্রথম অভিনয় ‘যমুনা পুলিন’ ছবিতে। বাংলা, হিন্দি ছাড়াও তামিল, তেলুগু ও উর্দু ছবিতেও অভিনয় করেছেন। পেয়েছেন সংগীত নাটক আকাদেমি পুরস্কার এবং এইচএমভি-র গোল্ডেন ডিস্ক।

১৯০৩
রাধারানি দেবী (১৯০৩-১৯৮৯) এদিন জন্মগ্রহণ করেন। মাত্র ১৩ বছর বয়সে বিয়ে হয়েছিল। ১৪ বছর বয়সে স্বামীকে হারান। স্বেচ্ছায় বেছে নেন কঠোর বৈধব্য-জীবন। তাঁর কবিতা ‘ভারতী’, ‘কল্লোল’, ‘ভারতবর্ষ’ প্রভৃতি পত্রিকায় প্রকাশিত হত। এ সময় প্রমথ চৌধুরী মন্তব্য করেন, ‘‘মেয়েরা তাদের নিজের কথা নিজের মতো করে বলতে পারে না।’’ এই মন্তব্যের প্রতিবাদে অপরাজিতা দেবী নামের আড়ালে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার ছায়াপাতে লিখতে শুরু করলে তা সাহিত্যজগতে আলোড়ন ফেলে দেয়। অপরাজিতা দেবী রবীন্দ্রনাথকে পত্র লিখতেন পদ্যে, উত্তরও পেতেন পদ্যে। পরে সেগুলি ‘প্রহসিনী’ গ্রন্থে প্রকাশিত হয়। শরৎচন্দ্রের অসমাপ্ত উপন্যাস ‘শেষের পরিচয়’ তিনিই সম্পূর্ণ করেন। ১৯৮৬-তে রবীন্দ্র পুরস্কার লাভ করেন।

১৯১৭

‘বোস রিসার্চ ইনস্টিটিউট’-এর দ্বারোদ্ঘাটন হয় এদিন। নিজের ৫৯তম জন্মদিবসে জগদীশচন্দ্র বসু এই উদ্ঘাটন করেন। বসু বিজ্ঞান মন্দিরের বিভিন্ন অংশ তিনি প্রাচীন স্থাপত্যের অনুকরণে সাজান। অবসর গ্রহণের পর থেকে আমৃত্যু তিনি এখানেই গবেষণারত ছিলেন।

১৯০৮

বুদ্ধদেব বসু (১৯০৮-১৯৭৪) এদিন কুমিল্লাতে জন্মগ্রহণ করেন। খ্যাতনামা সাহিত্যিক। ‘প্রগতি’ ও ‘কল্লোল’, এই দুটি পত্রিকায় লেখার অভিজ্ঞতাকে সম্বল করে যে কয়জন তরুণ লেখক রবীন্দ্রনাথের জীবদ্দশাতেই রবীন্দ্র প্রভাবের বাইরে সরে আসার দুঃসাহস দেখিয়েছিলেন, বুদ্ধদেব তাঁদের অন্যতম। তাঁর সম্পাদিত পত্রিকার নাম ছিল ‘কবিতা’। ‘কলকাতার ইলেক্ট্রা’, ‘রাতভর বৃষ্টি’, ‘তপস্বী ও তরঙ্গিনী’, ‘হঠাৎ আলোর ঝলকানি’ প্রভৃতি তাঁর লেখা উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ। পেয়েছেন সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার ও পদ্মভূষণ সম্মাননা।

 

 

 

 

Previous articleতেলেঙ্গানায় শুরু ভোটগ্রহণ, সকাল সকাল ভোটদানের আর্জি প্রধানমন্ত্রীর
Next articleরাজনৈতিক প্র.তিহিংসা! শাহী সভার পরদিনই কলকাতার দুই কাউন্সিলরের বাড়িতে হা.না CBI-র