আদিবাসী দলিতদের (Dalit) অপমান (Insult) ও মোদি সরকারের (Modi Govt) বঞ্চনার প্রতিবাদে পথে নামল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। শনিবার কলকাতা-সহ রাজ্যের ব্লকে ব্লকে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বে মিছিল (Protest Rally) ও অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হন কর্মী-সমর্থকরা। বাংলাকে বঞ্চনার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে শনি ও রবিবার প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দেয় তৃণমূল। শনিবার প্রতিবাদ মিছিলের প্রথম দিনেই কেন্দ্রীয় বঞ্চনার পাশাপাশি আদিবাসীদের উপর অবমাননার বিষয়টি প্রধান ইস্যু হয়ে ওঠে।

শনিবার কলকাতা-সহ পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি ব্লকে ব্লকে মিছিল করে প্রতিবাদে সরব হয় তৃণমূল কংগ্রেস। আবাস যোজনা ও একশো দিনের কাজে বাংলাকে বঞ্চনার অভিযোগে সরব হওয়ার পাশাপাশি আদিবাসী অবমাননার বিরুদ্ধেও একযোগে গর্জে উঠলেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতানেত্রীরা। হাজরায় এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিবাদ মিছিলের অগ্রভাগে ছিলেন সাংসদ মালা রায়, মণীশ গুপ্ত, বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়রা। এদিনের মিছিল থেকে তৃণমূল সাংসদ মালা রায় বলেন, দলিতদের জন্য নাকি প্রাণ কাঁদে ওঁদের। যদি সত্যিই প্রাণ কাঁদত তাহলে আদিবাসী-দলিত সম্প্রদায়কে এভাবে অপমান করতে পারতেন না বিজেপি বিধায়করা। মালা আরও বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসই দলিত ও আদিবাসী মানুষের পাশে আছে। তাঁদের কথা ভাবে একমাত্র তৃণমূলই। তৃণমূল সাংসদ আরও জানান, বিধানসভায় দলিত ও অধিবাসী সম্প্রদায়ের নেতা ও মন্ত্রীরা উপস্থিত ছিলেন বলেই গঙ্গা জল দিয়ে শুদ্ধিকরণের কাজ করেছে গদ্দার শুভেন্দু অধিকারী। মালা রায় আরও জানান, বিজেপি জাতীয় সঙ্গীত জানে না। তাই জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননা করতে তারা পিছপা হয় না। বিজেপি শুধু জানে ইডি ও সিবিআই দিয়ে ধমকাতে ও চমকাতে পারে, মানুষকে নিয়ে চলতে জানে না। অমিত শাহের ‘ফ্লপ শো’ থেকে চোখ ঘোরাতেই এই কর্মকান্ড বিজেপির।

পাশাপাশি এদিন দমদমে মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে প্রতিবাদ মিছিল করে তৃণমূল। রাজাবাজারে প্রতিবাদ মিছিলে অংশ নেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। চুঁচুড়া বিধানসভার দেবানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় প্রতিবাদ মিছিলে ছিলেন বিধায়ক অসিত মজুমদার। এছাড়াও ডায়মন্ড হারবার পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিবাদ মিছিলে নেতৃত্ব দেন কাউন্সিলর দেবকী হালদার। কাকদ্বীপে তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে প্রতিবাদ মিছিলে নেতৃত্ব দেন কাকদ্বীপের বিধায়ক মন্টুরাম পাখিরা। গঙ্গাসাগরে মিছিলে নেতৃত্ব দেন সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা। বারাসত পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর সোমেন আচার্যের নেতৃত্বে প্রতিবাদ মিছিল হয়।

তবে এদিন দিকে দিকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তৃণমূল নেতারা আওয়াজ তোলেন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ অনুসারে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের স্বৈরাচারী নীতি ও বঞ্চনার প্রতিবাদে বাংলার সাধারণ খেটে খাওয়া অসহায় মানুষের ১০০ দিনের কাজের প্রাপ্য টাকা, আবাস যোজনার প্রাপ্য টাকা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রে আটকে রেখেছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার। প্রাপ্য টাকা না মেটানো পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এই আন্দোলন চলবে।