কান্তি-বিকাশের সঙ্গে একমঞ্চে অভিজিৎ! ‘নিরপেক্ষতা’ নিয়ে প্রশ্ন বিভিন্ন মহলে

আইনের দেবীর চোখ বাঁধা। কারণ আইন নিরপেক্ষ। আইনের চোখে সবাই সমান। বিচার সবার জন্য এক। কিন্তু বিচারপতিই যদি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক মতাদর্শে প্রভাবিত হয়ে রাজনৈতিক নেতৃত্বের সঙ্গে একফ্রেমে ধরা দেন, তাহলে কি নিরপেক্ষ বিচারের আশা করা যায়? প্রশ্ন উস্কে দিচ্ছে একটি ছবি। সেখানে সিপিএমের (CPIM) বর্ষীয়ান নেতা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় (Kanti Ganguli) আর সাংসদ বিকাশ ভট্টাচার্যের (Bikash Bhattacharya) সঙ্গে এক মঞ্চে দেখা যাচ্ছে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে (Abhijit Ganguli)। রাজনৈতিক মহলের একাংশের প্রশ্ন, এর পরেও কি বলা যাবে বিচারপতি নিরপেক্ষ?

নামেই প্রতিবন্ধীদের সংগঠন। আসলে এটি কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের সংগঠন। যাঁরা দায়িত্বে তাঁরা সকলেই সিপিএম। একটিও বিরোধী সংগঠনের মুখ নেই। গণসংগঠনের আড়ালে সিপিএমের সংগঠন। কিন্তু সেখানে কেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়? তিনি নিশ্চয় সভায় যেতে পারেন। চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর তাঁর অধিকার রয়েছে রাজনীতি করার। যে কোনও রাজনৈতিক দলে যোগ দেওয়ার। কিন্তু তিনি এখনও বিচারপতি, সিটিং জাস্টিস! কী করে যাবেন? অভিযোগ, এটা চেয়ারের মর্যাদাকে ধুলোয় মিশিয়ে দেওয়া। এরপরই কি বিচারপতির কাছ থেকে নিরপেক্ষ বিচার আশা করা যায়? প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই।

এর আগেও বারবার অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Ganguli) বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তিনি এজলাসে বসে অনাবশ্যকভাবে শাসকদলকে আক্রমণ করেছেন। বিচারমহল বারবার সেই সময় প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছে, বিচারপতি তাঁর সিদ্ধান্তের মধ্যে দিয়ে আইন প্রতিষ্ঠা করবেন, পর্যবেক্ষণের মধ্য দিয়ে নিজের নিরপেক্ষ মানসিকতা বুঝিয়ে দেবেন। কিন্তু অভিজিৎ বারেবারেই সেই সীমা লঙ্ঘন করেছেন। তাঁর সিদ্ধান্ত সুপ্রিম কোর্টে বাতিল হয়ে যাওয়ার পরেও নিজেকে বদলাতে রাজি নন অভিজিৎ। নিজের রাজনৈতিক মতাদর্শকে প্রকাশ্যে এনেছেন তিনি। বলেছেন, সিপিএমের বিকাশ ভট্টাচার্যের পায়ের কাছে বসে তিনি কাজ শিখেছেন। এতদিন আড়ালে আবডালে বলা হচ্ছিল। এবার সরাসরি সিপিএমের সভায় বিচারপতি। এই ছবি ঘিরে এখন প্রবল সমালোচনা বিভিন্ন মহলে।


Previous article৩ রাজ্যে কংগ্রেসের ভরাডুবি, তেলেঙ্গানায় হারল বিজেপি
Next articleবিশেষ স.ক্ষম মানুষদেরও কাজ দিতে হবে, বিশ্ব প্রতিবন্ধ.কতা দিবসে কর্পোরেট সংস্থার কাছে আর্জি শশী পাঁজার