দলের প্রবীণ-নবীন সদস্যদের নিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। সোমবার, দমদম বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, ”দলে প্রবীণদের দরকার অবশ্যই। তবে ঊর্ধ্বসীমা থাকা দরকার। কারণ বয়স হলে মানুষের কাজের ক্ষমতা কমে যায়। সেই বিষয়টা মাথায় রাখতে হবে।”

এদিন বাংলার উত্তরে যাওয়ার পথে সাংবাদিকদের মুখোমুখি প্রবীণের প্রতিক্রিয়া দেন অভিষেক। তাঁর মতে, ”শুধু দল বলে নয়, যে কোনও জায়গায় আমি মনে করি, উর্ধ্বসীমা থাকা দরকার। যে পরিশ্রম একজন পঞ্চাশ বছরের মানুষ বা চল্লিশ বছরের মানুষ করতে পারেন, সেটা কোনও দিন আমার বয়স বেড়ে গেলে করতে পারব না। তবে প্রবীণদেরও প্রয়োজন। তাঁদের অভিজ্ঞতা দলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”

তবে, বৃদ্ধতন্ত্র কংগ্রেসকে প্রবল কটাক্ষ করেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)। তাঁর কথায়, ”কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব হয়ত ক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্যই তরুণদের তেমন সুযোগ দেয় না। তাদের একপাশে সরিয়ে রাখে। কিন্তু যোগ্যতা থাকলে কাউকে ষড়যন্ত্র করে দমিয়ে রাখা যাবে না।” তবে, অভিষেক স্পষ্ট জানান, ”নতুন তৃণমূল (TMC) বা পুরনো তৃণমূল বলে কিছু নেই। আমি বলেছিলাম, যাঁরা ২০১১ সালে সিপিএমের ৩৪ বছরের জগদ্দল পাথরকে সরানোর জন্য রক্ত, ঘাম দিয়ে পরিশ্রম করেছেন, তাঁদের দল ফের লড়াইয়ের সুযোগ দেবে। সেইমতোই কাজ হয়েছে। নতুন তৃণমূল মানে এমন নয় যে ২০,৩০ বা ৪০ বছরের লোকজন আলাদা দল করছে।”

একই সঙ্গে ফের মহুয়া মৈত্র নিয়ে অভিষেক জানান, নিজের লড়াই নিজেই লড়তে পারবেন মহুয়া। দল পাশে আছে। মোদি সরকারের এজেন্সি রাজকে তীব্র আক্রমণ করেন অভিষেক। তাঁর কথায়, ডবল ইঞ্জিন মানে তো ইডি আর সিবিআই! ২০২১ এর পর কোনও নির্বাচনেই বিজেপি জিততে পারেনি এই রাজ্যে। এর পরেই শুভেন্দুকে তোপ দেগে অভিষেক বলেন, যে চোর চোর করে চেঁচিয়ে চলেছে, তাকেই তো টিভির পর্দায় টাকা নিতে দেখা গিয়েছে, নাম না করে শুভেন্দুকে তোপ অভিষেকের। কটাই করে অভিষেক বলেন, “বিজেপি নেতারা পকেটমার। নিজেরাই পকেট মেরে চোর বলে চিৎকার করছে।“
