নিরাপদতম শহর কলকাতা, নারীর উপর অ.পরাধে শীর্ষে দিল্লি! স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে ধু.য়ে দিলেন শশী

দেশের মধ্যে নিরাপদতম শহর কলকাতা। পশ্চিমবঙ্গের সামগ্রিক অপরাধের হার অন্যা ন্য. রাজ্যের থেকে অনেক কম। জানাল খোদ কেন্দ্রীয় সরকার। ন্যাশনাল ক্রাইম ব্যুরোর (NCRB) রিপোর্ট অনুযায়ী, অপরাধ কমা ও নারী সুরক্ষায় দেশে সেরা শহর কলকাতা। এই রিপোর্ট প্রকাশের পরেই সন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাজ্যের নারী শিশু ও সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা (Shashi Panja)। এই রিপোর্ট অনুযায়ী, অপরাধের শীর্ষে দিল্লি! এই পরিসংখ্যানকে হাতিয়ার করে কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপিকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন তিনি।

মঙ্গলবার, বিধানসভা ভবনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মন্ত্রী বলেন, এই রিপোর্ট থেকে প্রমাণ হয়ে গেল কলকাতায় দেশের সবথেকে নিরাপদ শহর। রাজ্য সরকারের ক্রমাগত প্রচেষ্টায় রাজ্যে অপরাধের সংখ্যা কমেছে। কলকাতার নিজস্ব রেকর্ডের উন্নতি হচ্ছে। নাম না করে গেরুয়া শিবিরের সমালোচনা করে শশী (Shashi Panja) বলেন, “রাজনৈতিকভাবে যারা তৃণমূলের বিরোধিতা করছে এবং কলকাতাকে (Kolkata) কালিমালিপ্ত করছে, তাদের উচিত নিজেদের শহরের অপরাধ প্রবণতার দিকে তাকিয়ে কথা বলা।“

এরপরেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে তুলোধনা করে শশী পাঁজা বলেন, “দিল্লির আইনশৃঙ্খলা দেখে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। অথচ মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধে ওই শহর দেশের মধ্যে সবথেকে উপরে রয়েছে। নারী সুরক্ষার ক্ষেত্রে যথেষ্ট ভালো জায়গায় কলকাতা।“ উত্তরপ্রদেশে বুলডোজার চালিয়েও কেন অপরাধ কমছে না তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মন্ত্রী। বলেন, একশো দিনের কাজের ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো কাজ করেছে বাংলা, কিন্তু সেই টাকা আটকে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। যারা বহু বেটিদের নিয়ে প্রকল্পের কথা বলেন, তাদের এটা দেখা উচিত।

সম্প্রতি NCRB-র রিপোর্টে প্রকাশ, গত তিন বছরের পরিসংখ্যাদন কলকাতায় অপরাধের সংখ্যা্ উল্লেখযোগ্য হরে কমেছে। ২০২০ সালে যেখানে অপরাধের সংখ্যাদ ছিল ১৮ হাজার ২৭৭টি, সেখানে ২০২১ সালে এই সংখ্যাে ১৪ হাজার ৫৯১টি। ২০২২ সালে সেই গ্রাফ নেমে দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ২১৩-এ। সেখানে দিল্লিতে গত বছর অপরাধের সংখ্যা ৩ লাখ ১৮ হাজার ৫৫৫। আর বিজেপির ডবল ইঞ্জিন সরকারের গুজরাট, উত্তর প্রদেশ সব জায়গায় অপরাধের হার বাংলা তুলনায় অনেক বেশি। গুজরাটের আমেদাবাদে ৫৩ হাজার ৮৪৫, সুরাটে ৫৫ হাজার ৩০০, মধ্যাপ্রদেশের ইন্দোরে ২৭ হাজার ১২৭, রাজস্থানের জয়পুরে ৩৬ হাজার ৯৬১, উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ে ১৯ হাজার ৫৮, কানপুরে ১৫ হাজার ২৬০।

আরও পড়ুন: মমতার পরে নীতীশ-অখিলেশের ‘না’, স্থগিত I.N.D.I.A. জোটের বুধবারের বৈঠক

তথ্য অনুযায়ী, নারীদের জন্য সব থেকে অসুরক্ষিত শহরগুলির মধ্যে শীর্ষে রয়েছে দিল্লি। ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধ বেড়েছে ৪ শতাংশ। একইসঙ্গে শিশু, তপশিলি, উপজাতিদের উপরেও অত্যাচারের পরিমাণ বেড়েছে। দিল্লিতে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ১,২১২টি। এই দিল্লির আইনশৃঙ্খলার ভার রয়েছে খোঁজ অমিত শাহের হাতে থাকা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের উপর।

রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২০ সালে সারাদেশে মহিলাদের উপর ৩,৭১,৫০৩টি অপরাধ ঘটে। সেই সংখ্যা ২০২১ সালে বেড়ে হয় ৪,২৮,২৭৮টি। ২০২২ সালে আরও ৪ শতাংশ বেড়ে তা হয় ৪,৪৫,২৫৬টি। তবে শুধু মহিলাদের উপর নয়, অত্যাচারের পরিমাণ বেড়েছে শিশু, তপশিলি, উপজাতিদের ক্ষেত্রেও। সেক্ষেত্রে পরিসংখ্যান বলছে, ২০২২ সালে শিশুদের ওপর অত্যাচারের ঘটনা ঘটেছে ১,৬২,৪৪৯টি। ২০২১-র তুলনায় ২০২২ সালে ৮.৭ শতাংশ বেড়েছে এই পরিমাণ।

তপশিলি জাতি ও উপজাতিদের ক্ষেত্রে ২০২১ সালে দেশে অত্যাচারের ঘটনা ঘটেছিল ৫০,৯০০টি, ২০২২ সালে সেই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৭, ৫৮২টিতে। যা শতাংশের হিসেবে হয় ১১.১ শতাংশ।

Previous articleদক্ষিণ গাজায় লা.গাতার হা.মলা! আমেরিকা-রাষ্ট্রসংঘের ‘অনুরোধে’ও অবস্থানে অ.নড় ইজরায়েল
Next articleবাইজু’সের কাছে ১৬০ কোটা টাকা বকেয়া বাকি বিসিসিআইয়ের, স্পনসরকে নোটিশ আদালতের