হিন্দু পরিবারের ‘কর্তা’ কে হতে পারেন? দৃষ্টান্তমূলক নির্দেশ দিল্লি হাই কোর্টের

হিন্দু আইনেও মহিলাদের পরিবারের কর্তা হিসাবে স্বীকৃতি দিতে কোনও বাধা নেই। এইসঙ্গে এই বিষয়ে সমাজের চিরাচরিত দৃষ্টিভঙ্গিকে উড়িয়ে দিয়ে দুই বিচারপতি সাফ জানিয়ে দেন, সমাজের ভাবনা অনুযায়ী আইন বদলাবে না।

একসময় নারীদের হাতেই ছিল পরিবারের শাসন ক্ষমতা। পুরুষরা থাকতেন বাইরের কাজে। ভারতীয় পারিবারিক ঐতিহ্যে বিভিন্ন শাসনকালের প্রভাবে এই ধারার পরিবর্তন হয়েছে। পরিবারের একচ্ছত্র ‘কর্তা’ হিসেবে আধিপত্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পুরুষদের। কিন্তু আইন তা বলছে না। হিন্দু পরিবারের ‘কর্তা’ হতে পারেন সেই পরিবারের মহিলাও। এমনই দৃষ্টান্তমূলক নির্দেশ দিল দিল্লি হাই কোর্ট (Delhi High Court)।

তাঁকে পরিবারের কর্তা বলে মানাতে আপত্তি করছেন ভাইয়েরা- এই অভিযোগে দিল্লির হাই কোর্টে দ্বারস্থ হয়েছিলেন সুজাতা নামের এক মহিলা। এমনকী সুজাতার স্বামীকেও কর্তা হিসেবে মানতে রাজি ছিল না তাঁর পরিবার। সেই আপত্তি নাকচ করে দিয়েছে দিল্লি হাই কোর্ট। এমনকী মহিলার স্বামীকেও পরিবারের কর্তা হিসাবে ঘোষণা করতে অস্বীকার করেছে ডিভিশন বেঞ্চ।

মামলার শুনানি চলাকালীন দিল্লি হাইকোর্টে বিচারপতি সুরেশ কুমার কাইত এবং বিচারপতি নীনা বনসল কৃষ্ণর ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, অবিভক্ত হিন্দু পরিবারের কর্তা হতে পারেন মহিলারাও। হিন্দু আইনেও মহিলাদের পরিবারের কর্তা হিসাবে স্বীকৃতি দিতে কোনও বাধা নেই। এইসঙ্গে এই বিষয়ে সমাজের চিরাচরিত দৃষ্টিভঙ্গিকে উড়িয়ে দিয়ে দুই বিচারপতি সাফ জানিয়ে দেন, সমাজের ভাবনা অনুযায়ী আইন বদলাবে না।

 

 

 

 

Previous articleউন্নতি হয়নি শারীরিক অবস্থার! মদনের কাঁধের অ.স্ত্রোপচার পিছনোর সিদ্ধান্ত SSKM-এর
Next articleবাংলায় ইনিংস শুরু শীতের! ফের নামল কলকাতার পারদ