অবিজেপি রাজ্যগুলিকে ভাতে মারার লাগাতার চেষ্টা। আর সেকারণেই ‘অর্থনৈতিক অবরোধ’ (Economical Strike) করে বাংলা সহ একাধিক রাজ্যকে নাস্তানাবুদ করার চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে মোদি সরকার (Modi Govt)। সোমবার এই অভিযোগ তুলেই রাজ্যসভা থেকে ওয়াক আউট (Walkout) তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) সহ ইন্ডিয়া জোটের (INDIA) শরিক দলগুলির। এদিন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আর্থিক বঞ্চনার প্রতিবাদে সরব হয়ে রাজ্যসভায় হই-হট্টগোল শুরু করে তৃণমূল, আম আদমি পার্টি, কংগ্রেস, জেডিইউ, ডিএমকে, আরজেডি, এনসিপি, সিপিআই(এম), সিপিআই, শিবসেনা সহ অন্যান্যরা।

তবে দীর্ঘদিন ধরেই বাংলার মানুষকে দিনের পর দিন ভাতে মারার প্রতিবাদে সরব তৃণমূল। সে লোকসভা হোক বা রাজ্যসভা সবজায়গাতেই ঘাসফুল শিবিরের নেতৃত্বে মোদি সরকারের বঞ্চনার প্রতিবাদে আন্দোলনে সামিল হচ্ছে বিরোধীরা। পাশাপাশি দিনদুয়েক আগেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখে ডিসেম্বরে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে দিল্লি সফরে যাচ্ছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। জানা গিয়েছে চলতি মাসের ১৮, ১৯ ও ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার জন্য সময় চেয়ে নিয়েছেন।
এদিকে রবিবারই ঘোষণা করা হয় ১৯ ডিসেম্বর দিল্লিতে বসতে চলেছে ইন্ডিয়া জোটের চতুর্থ বৈঠক। ওই বৈঠকেই আসন বন্টনের বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে বলে খবর। আর রবিবার বৈঠকের দিনক্ষণ ঘোষণা হওয়ার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই রাজ্যসভায় বিরোধী শক্তির এক হয়ে মোদি সরকারের বিরদ্ধে এই পদক্ষেপকে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে, মধ্যপ্রদেশের সদ্যসমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে আসন ভাগাভাগি নিয়ে সমাজবাদী পার্টি-র সঙ্গে কংগ্রেসের যে মতপার্থক্য ছিল তা মিটে গিয়েছে বলে সূত্রের খবর। আর সেকারণেই নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব ভুলে দিল্লির বৈঠকে হাজির হবেন সমাজবাদী পার্টি সুপ্রিমো অখিলেশ যাদবও।
