স্মার্ট মিটার বসিয়ে আধুনিকীকরণের পথে কাঁ.টা বাম! বিক্ষোভ সমাবেশে প্র.তিবাদ

রাজ্য সরকারের বসানো স্মার্ট মিটারের (smart meter) প্রতিবাদে পথে নামল বামেরা। রাজ্যে বিদ্যুতের পরিষেবায় আধুনিকীকরণে সরকারের এই উদ্যোগকে ব্যাকফুটে পাঠানোর উদ্দেশ্যে রানি রাসমণি রোডে একটি সমাবেশ করে বাম সমর্থিত একটি সংগঠন। সেখানে রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগকে বিদ্যুতের বিল বাড়ানোর প্রক্রিয়া বলে দাবি করেন বামনেতারা। আপাতত সরকারের বিদ্যুতের মিটার সহ সাব-স্টেশন তৈরির ১২ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পকে বিশ বাঁও ঠেলার পথেই হাঁটছে বামেরা।

রাজ্যের বিদ্যুৎ পরিকাঠামোর আধুনিকীকরণে শুরু হয়েছে বাড়ি বাড়ি স্মার্ট মিটার বসানোর কাজ। রাজ্যের ৩৭ লক্ষ গ্রাহকের বাড়িতে স্মার্ট মিটার বসিয়ে মোবাইল নেটওয়ার্কের মতো প্রিপেইড (pre-paid bill) হিসাবে বিদ্যুতের বিল দেবেন। রিচার্জ শেষ হওয়ার আগেই মোবাইলে মেসেজ আসবে টাকা শেষ হচ্ছে – এই বার্তা নিয়ে। টাকা শেষ হয়ে গেলে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। ইতিমধ্যেই সল্টলেক, রাজারহাট, গড়িয়া, হুগলির শ্রীরামপুর পাওয়ার ডিভিশনে স্মার্ট মিটার বসানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। এই প্রকল্পের সঙ্গেই রয়েছে রাজ্যে আরও ৮৭টি সাবস্টেশন বসানোর পরিকল্পনা। সব মিলিয়ে বরাদ্দ অর্থের ৬০ শতাংশ কেন্দ্র সরকার ও ৪০ শতাংশ রাজ্য সরকার দেবে।

মঙ্গলবার ইস্যুকেই সামনে রেখে প্রতিবাদে নামে পশ্চিমবঙ্গ বস্তি উন্নয়ন সমিতি। উপস্থিত ছিলেন সাংসদ বিকাশ ভট্টাচার্য (Bikash Bhattacharya), ফুয়াদ হালিম, হান্নান মোল্লা। তাঁদের দাবি স্মার্ট মিটার বসিয়ে জনগনের ওপর বিদ্যুতের বিল বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে কেন্দ্র সরকার। সেই পদ্ধতিতে সহযোগিতা করছে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি জবরদস্তি বস্তি উচ্ছেদ করতে না পেরে মিটার বসিয়ে বেশি বিদ্যুতের বিল চাপিয়ে বস্তি উচ্ছেদের চেষ্টা চলছে। যদিও রাজ্য সরকার স্মার্ট মিটার বসানোর পর ট্যারিফ বাড়ানো নিয়ে এখনও কোনও ঘোষণা করেনি। উপরন্তু, গোটা রাজ্যে ৩৭ লক্ষ গ্রাহকের বাড়ি স্মার্ট মিটার বসানোর মধ্যে দিয়ে বিদ্যুৎ চুরির বিষয়টির ওপর নজরদারি চালানোরও কাজও সহজ হবে।

আরও পড়ুন- বিসিসিআই আয়োজিত নকআউট ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় নজর কাড়লেন চুঁচুড়ার মিষ্টি, ঝুলিতে ২০ টি উইকেট

Previous articleবিসিসিআই আয়োজিত নকআউট ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় নজর কাড়লেন চুঁচুড়ার মিষ্টি, ঝুলিতে ২০ টি উইকেট
Next articleঅনিশ্চিত কোয়াড সামিট! সাধারণতন্ত্র দিবসে ভারতে আসছেন না মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন