অভিষেকের উদ্যোগে ডায়মন্ড হারবারে বার্ধক্য ভাতা: রাজ্যকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে টাকা দেওয়ার আবেদন

করোনা মহামারির সময় গরিব মানুষের ঘরে ঘরে রান্না করা খাবার পৌঁছে দেওয়া থেকে শুরু করে কোভিডের টীকাকরণ, কখনও বা পানীয় জলের সরবরাহের ব্যবস্থা, কখনও বা জরুরি ভিত্তিতে ননী ভাঙনের মেরামত ইত্যাদি। কার্যত নিজের সংসদীয় এলাকা ডায়মন্ড হারবারকে মডেলে পরিণত করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেক তাঁর নির্বাচন কেন্দ্রের ভোটার ও উপভোক্তাদের পরিষেবা পাইয়ে দিতে প্রশাসনের মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট বার বার পদক্ষেপ করছেন।

এবার ডায়মন্ড হারবারে নতুন অভিযানে নেমেছেন অভিষেক ও তাঁর টিম। সংসদীয় এলাকার বরিষ্ঠ নাগরিকদের খুঁজে বার্ধক্য পেনশন নিশ্চিত করতে নেমেছেন সাংসদ।অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে ডায়মন্ড হারবারে বার্ধক্যভাতার আবেদনে ব্যাপক সাড়া মিলেছে। টার্গেট ছিল ৭০ হাজার। রেকর্ড আবেদন জমা পড়ল। আবেদন নেওয়ার জন্য খোলা হয় ক্যাম্প। তৃণমূল সূত্রে খবর, ক্যাম্প শুরু হওয়ার মাত্র ৬ দিনের মধ্যে জমা পড়েছে ৪৭ হাজার আবেদনপত্র। আরও কিছুদিন আবেদন নেওয়া হবে। ফলে আবেদনপত্রের সংখ্যা লক্ষাধিক হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। নথি ঠিকঠাক থাকলে আবেদনকারী সবাইকেই ভাতা দেওয়ার চেষ্টা হবে বলে জানা যাচ্ছে। সূত্রের খবর, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ডায়মন্ড হারবার লোকসভা এলাকায় বার্ধক্য ভাতার টাকা রিলিজ করার জন্য বলা হয়েছে রাজ্য সরকারকে। অন্যথায় অভিষেক নিজেই সেই টাকার সংস্থান করবেন বলে জানাচ্ছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।

প্রসঙ্গত, ফলতায় দাঁড়িয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন ডায়মন্ড হারবারের ৭০ হাজার মানুষকে বার্ধক্যভাতার ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। সেই লক্ষ্যে ক্যাম্প শুরু করে দেখা যাচ্ছে পুরোনদের সঙ্গে নতুনরাও আবেদন করছেন। পুরোনদের মধ্যে ইতিমধ্যেই ৪৭ হাজার মানুষ আবেদন করেছেন। অন্যদিকে, নতুনদের আবেদনের সংখ্যা ৭ হাজার ছাড়িয়েছে। এখনও আবেদন জমা নেওয়ার জন্য ক্যাম্প ৭ দিন বা তার বেশি সময় চলবে। ফলে অনুমান করা হচ্ছে ডায়মন্ড হারবারের অন্তর্গত ৭টি বিধানসভায় আবেদনকারীর সংখ্যা ১ লাখ ছাড়িয়ে যাবে।

Previous articleফের বর্ধমান স্টেশনে অঘটন, হুড়োহুড়িতে ফুট ওভারব্রিজে পদপিষ্ট ২ যাত্রী
Next articleHooghly News: দৃষ্টিহী.ন পবিত্র মণ্ডল আলো দেখাচ্ছেন সমাজকে!