মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেই ভুয়ো শংসাপত্র নিয়ে সতর্ক নবান্ন। জেলাশাসক ও বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকদের এই বিষয়ে নির্দেশ দিলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী (Harikrishna Dwibedi)। এবার দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে জাতিগত শংসাপত্রের কাজ করা হবে। বুধবার একাধিক জেলার জেলাশাসক এবং নানা দফতরের সচিবদের নিয়ে বৈঠক করে এই বিষয়ে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন মুখ্যসচিব।

উত্তরবঙ্গের প্রশাসনিক সভা থেকে বারবার জাতিগত শংসাপত্র নিয়ে সতর্ক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র নিয়ে মামলা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টেও। ভুয়ো শংসাপত্র বাতিল রাজ্য কড়া পদক্ষেপ করবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। এই পরিস্থিতিতে নবান্নের বৈঠকে জাতিগত শংসাপত্রের বিষয়টি আলোচিত হয়। নির্দেশ দেওয়া হয়, জাতিগত শংসাপত্রের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ম মানতেই হবে। কেন্দ্রের গাইডলাইন (Guide Line) মেনেই দিতে হবে জাতিগত শংসাপত্র। এবার যেহেতু দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে জাতিগত শংসাপত্রের কাজ করা হবে। সেই কারণে বিশেষ সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যেসব আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের জাতিগত শংসাপত্র নেই, তাঁদের থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য নথি নিয়ে তবেই শংসাপত্র দেওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্যসচিব (Harikrishna Dwibedi)। তবে, নিয়মের বেড়াজালে কেউ যেন বঞ্চিত না হন সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে বলা হয়েছে।
১৫ ডিসেম্বর থেকে রাজ্যজুড়ে শুরু হবে দুয়ারে সরকার শিবির। সেখানে জাতিগত শংসাপত্র দেওয়া হবে। এখান থেকে অনেকে আবেদনও করতে পারেন। এবার এখানে একটি নতুন পরিষেবা যুক্ত হয়েছে। হর্টিকালচার বিভাগ বা উদ্যান পালন দফতরের একটি প্রকল্প এবারের দুয়ারে সরকারে ক্যাম্পে যোগ হয়েছে বলে সূত্রের খবর। প্রান্তিক এলাকা এবং আদিবাসী অধ্যুষিত অঞ্চলগুলিতে দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পে বিশেষ নজর দেওয়ার বিষয়ে এদিনের বৈঠকে নির্দেশ দেন মুখ্যসচিব। ক্যাম্পে কোনও আবেদনপত্র ফোটোকপি করে বিলি না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এবিষয়ে জেলাশাসকদের সতর্ক করেন মুখ্যসচিব। ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত দুয়ারে সরকারের পরিষেবা দেওয়া হবে।
