বুধবারের ভয়াবহতা কাটিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরল বর্ধমান স্টেশন (Bardhaman Station)। কিন্তু যাত্রীদের মনে এখনও সেই স্মৃতি দগদগে। তবে যাত্রীদের মনে এখন একটাই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে যে, ট্যাঙ্কের (Tank) বাকি অংশও ফের ভেঙে পড়বে না তো? উল্লেখ্য, বুধবার দুপুরে বর্ধমান স্টেশনের দুই এবং তিন নম্বর প্ল্যাটফর্মের (Platform) মাঝে একশো বছরেরও বেশি পুরনো লোহার জলের ট্যাঙ্কটি হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে। যার কারণে বুধবার বেশ কিছুক্ষণ ব্যাহত হয় বর্ধমান স্টেশনে ট্রেন চলাচল। তবে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক। ট্যাঙ্কের আশপাশে সবুজ চটের চাদর দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। বন্ধ রাখা হয়েছে দুই এবং তিন নম্বর প্ল্যাটফর্মে ঢোকা-বেরোনোর চলমান সিঁড়িটিও। এদিকে ট্যাঙ্ক ভেঙে পড়ার ঘটনায় আহত ৩৯ জন বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে আপাতত সকলেই স্থিতিশীল বলে জানান হাসপাতালের সুপার তাপসকুমার ঘোষ।

কিন্তু বুধবারের ঘটনায় যাত্রীরা রেলের উদাসীনতাকেই কাঠগড়ায় তুলছে। তাঁদের অভিযোগ, দুর্ঘটনার পরেও রেল প্রশাসনের কোনও হেলদোল নেই। এখনও যে ভাবে ভেঙে পড়া জলের ট্যাঙ্কের কাঠামো দাঁড়িয়ে আছে, তাতে ভয় হচ্ছে আবার না ভেঙে পড়ে। এদিকে দুর্ঘটনায় মৃত মফিজা খাতুনের স্বামী মেমারির বাসিন্দা আব্দুল মফিজ শেখ রেলের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ এনে এই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে এফআইআর দায়ের করেছেন। আইপিসি ৩৩৭, ৩৩৮, ৩০৪এ ও ২৮৩ ধারায় মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। একইসঙ্গে রেলওয়ে আইনের ১৫৩ ও ১৫৪ নং ধারাতে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে বর্ধমান জিআরপি।
পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানান, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে স্টেশনের ২ নম্বর প্লাটফর্ম দিয়ে লোকাল, মেল এবং এক্সপ্রেস— সব ট্রেনই চলাচল করছে। ফলে ট্রেন চলাচল একেবারে স্বাভাবিক রয়েছে।
