Wednesday, December 17, 2025

২২ বছরেও ছবিটা বদলাইনি, সংসদে হা.মলার ‘পুনরাবৃত্তি’ নিয়ে বিজেপিকে বিঁধ.লেন সুদীপ!

Date:

Share post:

তারিখ ১৩ ডিসেম্বর (বুধবার), ২০০১ এবং ২০২৩ সালের মধ্যে ফারাক শুধু ২২ বছরের। সেই ট্র্যাডিশন আজও চলছে। সংসদের নিরাপত্তা এখনও প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে। দুবারই বিজেপি সরকারের আমলে সংসদের নিরাপত্তায় গলদ প্রকাশ্যে এল। তখনও ছিলেন, এখনও সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় (Sudip Banerjee)। দু দুবার হামলা হয়ে গেল, আজকের ঘটনা প্রমাণ করে দিল সংসদের ভেতরে কতটা অসুরক্ষিত সাংসদরা। স্মৃতিচারণায় ঠিক এভাবেই বিজেপি সরকারকে বিঁধলেন সুদীপ।

তৃণমূল কংগ্রেসের বর্ষীয়ান সাংসদের কথায়, ” সেদিনও আমি পার্লামেন্টে উপস্থিত ছিলাম। সেদিন ছিলাম সংসদের সেন্ট্রাল হলে আর বুধবার অধিবেশন চলাকালীন লোকসভার মধ্যে। তবে সেদিনের সাথে আজকের তফাৎ অনেকটাই। ২০০১ সালে আজকের দিনে অর্থাৎ ১৩ ডিসেম্বর সংসদ ভবনে সন্ত্রাসী হামলায় মৃত্যু হয়েছিল ৯ জনের। সেদিন একজন সাংসদ এরও ক্ষতি হয়নি , সংসদকে রক্ষা করেছিলেন নিরাপত্তারক্ষীরা আর বুধবারের হামলায় সাংসদরা নিজেদের আত্মরক্ষার্থে মাঠে নামেন। সেদিন পার্লামেন্টকে রক্ষা করতে প্রাণ গিয়েছিল নিরাপত্তা রক্ষীদের। আর বুধবারের ঘটনার পর জানা গেল মোদির স্বপ্নের সংসদ ভবন রক্ষার জন্য এখনও প্রায় ১৬০ জন নিরাপত্তা কর্মীর শূন্যস্থানই পূরণ হয়নি।” ঢাকঢোল পিটিয়ে, কোটি কোটি টাকা খরচ করে যে সংসদ ভবনের উদ্বোধন হল , যেখানে জনপ্রতিনিধিরা যাচ্ছেন ,দেশের আইন কানুন এবং সুরক্ষা নিয়ে চর্চা হচ্ছে তা যে কতটা অসুরক্ষিত এদিনের ঘটনা তা চোখে আঙুল দিয়ে প্রমাণ করে দিল।

২২ বছর আগের স্মৃতিচারণায় সুদীপ বলেন, “সেদিন এগারোটার সময় সভা শুরু হয়ে ১১:০২ মিনিটে ছুটি হয়ে যায়। এক সংসদের মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন করার পর আমরা সেন্ট্রাল হলে বসে ছিলাম। সেই সময় মুহুর্মুহু গুলির আওয়াজ শুনতে পাই। তখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন এল কে আদবানি। তাঁর নিরাপত্তায় ব্যস্ত হয়ে ওঠেন রক্ষীরা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নির্দেশ দেন সেন্ট্রাল হলের দরজা যেন বন্ধ করে দেওয়া হয় যাতে কেউ প্রবেশের সুযোগ না পায় অর্থাৎ তখনও তিনি সাংসদদের নিরাপত্তার দিকটি নিয়ে চিন্তিত ছিলেন। সেদিন এক মিনিটের শোকসভা হয়ে সংসদের কাজকর্ম বন্ধ হয়ে গিয়েছিল বলেই বড় কোন ক্ষতি হয়নি। আর বুধবার ভরা লোকসভায় অনুপ্রবেশকারীরা ঢুকে পড়লো। মোদি সরকারের এটা যে কত বড় ব্যর্থতা তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। ” প্রথম থেকেই যে পার্লামেন্ট তৈরি করাকে নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। এদিনের ঘটনা সেই নতুন পার্লামেন্টকে কলঙ্কিত করে দিল । বুধবার স্পিকারের সঙ্গে বৈঠকে এই সমস্ত বিষয়গুলো উত্থাপন করেন বর্ষিয়ান তৃণমূল সাংসদ। বিকেল চারটের সময় স্পিকার ওম বিড়লা সমস্ত দলের ফ্লোর লিডারদের নিয়ে বৈঠক করেন। মহুয়া মৈত্র ইস্যুতে লগইন, পাসওয়ার্ড দেশের নিরাপত্তার সঙ্গে জুড়ে দিয়ে তাঁকে লোকসভা থেকে বহিষ্কার করেছে মোদি সরকার। অথচ বিজেপি সাংসদ আজ যে দুজনকে পাস দিয়েছিলেন, যাঁরা সংসদে এত বড় ঘটনা ঘটালো। সেটা কি নিরাপত্তার উপর প্রশ্ন তোলে না? সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার কী সিদ্ধান্ত নেবে? তদন্ত কমিটি গঠন করে বিষয়টাকে ধামা-চাপা দিতে মরিয়া বিজেপি সরকার, অন্তত এমনটাই মনে করছেন বিরোধীরা।

spot_img

Related articles

তৃণমূল কাউন্সিলর খুনে সাজা ঘোষণা, তিনদোষীর যাবজ্জীবন

পানিহাটির তৃণমূল কাউন্সিলার অনুপম দত্ত খুনের মামলায় তিন অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের (TMC Councillor Murder) সাজা শোনাল ব্যারাকপুর আদালত।...

ঢাকায় হুমকি হাইকমিশনে: বাংলাদেশের হাই কমিশনারকে তলব বিদেশ মন্ত্রকের

বাংলাদেশে ভারতীয় দূতাবাসে ক্রমাগত হুমকি। অথচ বাংলাদেশের মহম্মদ ইউনূস (Mohammed Yunus) পরিচালিত অন্তর্বর্তী সরকার নীরব। প্রতিবেশী দেশ ভারতের...

বাংলায় কোটি কোটি রোহিঙ্গা-বাংলাদেশি কোথায়? মিথ্যাচারের জন্য ক্ষমা চাক বঙ্গ বিজেপি: তীব্র নিশানা অভিষেকের

বিজেপি বলেছিল বাংলায় এক-দেড় কোটি রোহিঙ্গা, অগণিত বাংলাদেশি নাগরিক আছে। তারা কোথায় গেল? বাংলার ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন...

NCRT-র সিলেবাসে বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ইতিহাস রাখার দাবি ঋতব্রতের

এনসিইআরটি-র পাঠ্যবইয়ে বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের (Bengali Freedom Fighters) ইতিহাস অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানালেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ ঋতব্রত...