Sunday, May 4, 2025

বসিরহাটের ইটভাটায় ফায়ারিংয়ের (firing) সময় চিমনি ভেঙে মৃত শ্রমিকের সংখ্যা বাড়ল। এপর্যন্ত মৃত্যু হল ৪জনের। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বসিরহাট থানার (Basirhat police) পুলিশ। মৃত ও আহতদের বেশিরভাগই ভিন রাজ্য থেকে আসা শ্রমিক। এই ঘটনার পর ভিন রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকদের কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা ফের একবার প্রশ্নের মুখে।

বুধবার রাতে ভাটায় ফায়ারিংয়ের সময় হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে চিমনি। চাপা পড়েই মৃত্যু হয় দুজনের। ধ্বংসস্তূপের তলা থেকে উদ্ধার করা দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। তাঁদেরই একজন বৃহস্পতিবার মারা যায়। মৃতদের মধ্যে তিনজন হলেন হাফিজুল মণ্ডল, জেঠুরাম ও রাকেশ কুমার। কিন্তু এই মৃত্যুর দায় কার, উঠেছে সেই প্রশ্ন।

বসিরহাট তথা উত্তর ২৪ পরগণার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে অসংখ্য ইটভাটা। তাদের একটা বড় অংশ ভিন রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিক। এখান থেকে যথেষ্ট উপার্জন হয় বলেই এতদূর তাঁরা কাজ করতে আসেন। অর্থাৎ এই এলাকার ইটভাটাগুলির ব্যবসা বেশ রমরমিয়েই চলছে। গোটা রাজ্যে স্বচ্ছ ও সুশৃঙ্খল নগরোন্নয়ন নীতি থাকায় ইটের ব্যবসা যথেষ্ট লাভজনকও হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ইটভাটার স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ (maintenance) ইটভাটা মালিকেরই দ্বায়িত্ব। দুর্বল ভাটায় এত শ্রমিককে একসঙ্গে ঢুকিয়ে কাজ করানোর অনুমতি নিয়েও তদন্ত করছে পুলিশ। ইটভাটা মালিক শ্রমিক স্বার্থে চিন্তাভাবনা করলে হয়তো ঠেকানো যেত এই দুর্ঘটনা।

Related articles

কড়া নজরদারিতে রাজ্য নির্বিঘ্নে হল নিট পরীক্ষা

চলতি বছর রবিবার হয়ে গেল ডাক্তারি কোর্সে ভর্তির সর্বভারতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষা।  ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির তত্ত্বাবধানে গোটা দেশজুড়ে প্রায়...

পরপর ছয় বলে ছটা ছয়, ইতিহাস তৈরি রিয়ান পরাগের

ইডেন গার্ডেন্সে রাজস্থান রয়্যালস(RR) জিতে পারেনি ঠিকই। কিন্তু ঐতিহ্যের ইডেনেই ইতিহাস তৈরি করলেন রিয়ান পরাগ(Riyan Parag)। পরপর ছয়...

ব্যানার-হোর্ডিংয়ে ছেয়ে গিয়েছে এলাকা! মুর্শিদাবাদে মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত তৃণমূল 

সোমবার ঝটিকা সফরে মুর্শিদাবাদে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার সকালে বহরমপুর থেকে রওনা হয়ে তিনি পৌঁছাবেন ধুলিয়ানে। সূত্রের...

পাক রেঞ্জারের বদলে পূর্ণম কুমার! কতটা আশার আলো দেখছেন স্ত্রী

পাকিস্তানের সেনার হাতে বন্দি রিষড়ার বিএসএফ (BSF) জওয়ান পূর্ণম কুমার সাউ। স্বামীকে ফিরিয়ে আনতে ফিরোজপুর সীমান্ত পর্যন্ত গিয়েছিলেন...
Exit mobile version