আনন্দপুর ধর্ষ.ণ-অপহ.রণ মামলার জট খুলতে এবার সিট গঠন কলকাতা পুলিশের

দুটি অভিযোগ। দুটি থানা। একাধিক নাম। একাধিক সম্ভাবনা। আনন্দপুর ধর্ষণের ঘটনার কিনারা করতে এবার স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম (SIT) গঠন করল কলকাতা পুলিশ। আদৌ কোনও ধর্ষণ (rape) হয়েছিল কি না তা নিয়েই ধন্দে পুলিশ। উপরন্তু ধর্ষণে অভিযুক্তকে অপহরণ (kidnapping) করার ঘটনার পিছনে কোন ষড়যন্ত্র লুকিয়ে রয়েছে এবার তারই তদন্ত করবে এই সিট।

একই দিনে আনন্দপুর থানায় (Anandapur police station) ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন এক তরুণী। অভিযুক্ত যুবক সেই দিনই নেতাজি নগর থানায় (Netaji Nagar police station) অপহরণের অভিযোগ জানান। দুটি ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ খুঁজে পায় যোগসূত্র। ধর্ষণে অভিযুক্ত ও তাঁর গাড়ির চালককে মাদক খাইয়ে একটি ফ্ল্যাটে আটকে রেখে অভিযোগকারিনী ও তাঁর সঙ্গী বিক্রম এবং এক বন্ধু শৌভিক বের হয়। তারা অপহৃতদের গাড়ি ও মোবাইল ফোন ব্যবহার করে। পরে পুলিশ শৌভিককে গ্রেফতার করে পরিকল্পনা কথা জানতে পারে। সেই সূত্র ধরে হায়দ্রাবাদ থেকে গ্রেফতার হয় মূলচক্রী বিক্রম।

কিন্তু কেন এই অপহরণ, অপহৃত যুবকের সঙ্গে এদের সম্পর্ক ঠিক কী – এসব প্রশ্নের সঠিক উত্তর এখনও অধরা। যেভাবে পরিকল্পনা করা হয়েছিল গোটা ঘটনা সাজাতে, তাতে আরও বড় কেউ এই পরিকল্পনার পিছনে থাকতে পারে। বিক্রমের সঙ্গে মুম্বাইয়ের যোগাযোগ পাওয়া গিয়েছে। এই সব বিষয়ে তদন্ত করতে গোয়েন্দা বিভাগের সাহায্য দরকার কলকাতা পুলিশের। সেই উদ্দেশ্যে সাত সদস্যের সিট গঠন করা হল। এই সদস্যদের মধ্যে গোয়েন্দা বিভাগের (detective department) আধিকারিকরা যেমন রয়েছেন তেমনই রয়েছেন কলকাতা পুলিশের গুণ্ডাদমন শাখার আধিকারিকরাও। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তিনজন গ্রেফতার হয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে একটি গাড়ি ও গাড়ির চাবি।

আরও পড়ুন- হোয়াইট লাং ডি.জিজের থা.বা দিল্লিতে, দেশে বাড়ছে মা.রণ রোগ

Previous articleজয়ে ফিরল মোহনবাগান, নর্থইস্টকে হারালো ৩-১ গোলে
Next articleসংসদে হা.মলার তথ্য লোপা.ট করতে মোবাইল পুড়ি.য়েছিল ললিত