মণিপুরে সার্বজনীন প্রার্থনার স্থানগুলিকে সু.রক্ষিত করার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

মণিপুর জাতিগত সংঘর্ষ মামলার তদন্তের জন্য গঠিত বিচারপতি গীতা মিত্তল কমিটির মেয়াদ ছয় মাস বাড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।এরই পাশাপাশি, মণিপুরে সার্বজনীন প্রার্থনার স্থানগুলিকে সুরক্ষিত করতে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের।

মণিপুর সরকারের হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে, জাতিগত হিংসার মধ্যে রাজ্যে উপাসনালয়গুলি ভাঙচুর করা হয়েছে। সেগুলো ভাঙচুর ও পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে।আবেদনকারীদের আইনজীবী হুজাইফা আহমাদির কাছ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ধর্মীয় স্থানের তালিকা চেয়েছে আদালত।যদিও আহমেদি বলেছেন, তার কাছে এই পরিসংখ্যান নেই। কিন্তু তার আবেদনের সঙ্গে তিনি আদালতে কয়েকটি চার্চের ছবি দিয়েছেন।

এই বিষয়ে, সিনিয়র অ্যাডভোকেট রঞ্জিত কুমার  বলেছেন যে অনেক মন্দিরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আদালতে সব ধর্মীয় স্থান নিয়ে আলোচনা করা উচিত।প্রধান বিচারপতি ডি.ওয়াই. চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ, উপাসনালয়গুলির সংস্কারের বিষয়টি বিবেচনা করার সময় বলেছেন যে রাজ্য সরকারকে হিংসার সময় ক্ষতিগ্রস্ত ধর্মীয় স্থানগুলি চিহ্নিত করার পরে দুই সপ্তাহের মধ্যে কমিটির কাছে একটি বিস্তৃত তালিকা জমা দিতে হবে।বেঞ্চের অন্য দুই সদস্য হলেন, বিচারপতি জে.বি. পারদিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্র।

বেঞ্চ স্পষ্ট করেছে যে এই ধরনের ক্ষতিগ্রস্ত উপাসনালয় শনাক্তকরণে সমস্ত ধর্মীয় স্থান অন্তর্ভুক্ত হবে।প্রধান বিচারপতি বলেন, “মণিপুর সরকারের উচিত কমিটিকে জনসাধারণের উপাসনালয়ের নিরাপত্তার জন্য নেওয়া পদক্ষেপ সম্পর্কে জানানো।”

উল্লেখ্য, বিচারপতি গীতা মিত্তলের সভাপতিত্বে বিভিন্ন হাইকোর্টের প্রাক্তন মহিলা বিচারপতিদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। এতে বিচারপতি (অবসরপ্রাপ্ত) শালিনী পি জোশী এবং বিচারপতি আশা মেননও রয়েছেন।সুপ্রিম কোর্ট কমিটিকে গত মে মাস থেকে হিংসার সময় ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হওয়া সার্বজনীন উপাসনালয় পুনরুদ্ধার সহ বেশ কয়েকটি পদক্ষেপের উপর একটি বিস্তৃত প্রস্তাব তৈরি করার অনুমতি দিয়েছে।

Previous articleআদালত চত্বরে এলোপাথাড়ি গুলি, পুলিশি ঘেরাটোপেই খুন গ্যাংস্টার ছোটে সরকার
Next articleমন্তব্য কিংবা হস্তক্ষেপ নয়, বিচার করুন: অভিষেক মামলায় জানালো সুপ্রিম কোর্ট