Sunday, August 24, 2025

দশম শ্রেণীতে দেশে ড্রপআউটের হার ২০.৬ শতাংশ, তালিকায় শীর্ষে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রীর রাজ্য

Date:

Share post:

২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে দশম শ্রেণি ড্রপআউটের হার ২০.৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এই তালিকায় সবচেয়ে খারাপ হাল কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের রাজ্য ওড়িশা। ইতালিকায় দেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে দেখা গিয়েছে বিহারের নাম। অন্যদিকে, গত চার বছরে ড্রপ আউটের নিরিখে ইতিবাচক প্রবণতা দেখা গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গে।

দেশে দশম শ্রেণীতে স্কুল ছুট পড়ুয়ার হার কত? বিস্তারিত তথ্য চেয়ে সংসদে এ বিষয়ে লিখিত প্রশ্ন করেছিলেন ডিএমকে সাংসদ কালানিধি বীরস্বামী। তার উত্তরে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রী জানান, ১,৮৯,৯০,৮০৯ জন ছাত্র ২০২২ সালে দশম শ্রেনীর পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল, যার মধ্যে ২৯,৫৬,১৩৮ জন পড়ুয়া অকৃতকার্য হয়। দশম শ্রেণীতে স্কুলছুট পড়ুয়ার হার ওড়িশায় ৪৯.৯ শতাংশ এবং বিহারে ৪২.১ শতাংশ ছিল। এছাড়া, স্কুল ছুটের তালিকায় অন্যান্য রাজ্যগুলি হল মেঘালয় (৩৩.৫ শতাংশ), কর্ণাটক (২৮.৫ শতাংশ), অন্ধ্র প্রদেশ এবং অসম (২৮.৩ শতাংশ), গুজরাট (২৮.২ শতাংশ) এবং তেলেঙ্গানা (২৭.৪শতাংশ)। ১০ শতাংশের কম ড্রপ আউটের হার সহ রাজ্যগুলির মধ্যে রয়েছে উত্তর প্রদেশ (৯.২ শতাংশ), ত্রিপুরা (৩.৮ শতাংশ), তামিলনাড়ু (৯ শতাংশ), মণিপুর, মধ্যপ্রদেশ (৯.৮ শতাংশ), হিমাচল প্রদেশ (২.৫ শতাংশ) , হরিয়ানা (৭.৪ শতাংশ) এবং দিল্লি (১.৩ শতাংশ)। অসম গত চার বছরে ৪৪ থেকে ২৮.৩ শতাংশে উল্লেখযোগ্য উন্নতি দেখিয়েছে, অন্যদিকে ওডিশা একই সময়ের মধ্যে ১২.৮ থেকে ৪৯.৯ শতাংশে নেতিবাচক প্রবণতা দেখেছে। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গ স্কুল ছুটের হার কমাতে যথেষ্ট উন্নতি করেছে বলে দেখা যাচ্ছে কেন্দ্রে রিপোর্টে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে পশ্চিমবঙ্গে দশম শ্রেণীতে ড্রপআউটের হার ছিল ২২ শতাংশ।সেখানে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে ড্রপআউট হয়েছে মাত্র ১৪.৯ শতাংশ।

পাশাপাশি ডিএমকে সাংসদ জানতে চেয়েছিলেন, শিক্ষা মন্ত্রকের সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী প্রায় ৩৫ লক্ষ শিক্ষার্থী দশম শ্রেণীতে তাদের পড়াশোনা বন্ধ করে দিয়েছে, এই তথ্য সম্পর্কে সরকার সচেতন কিনা। ধর্মেন্দ্র প্রধান জবাবে বলেন, “পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের ব্যর্থতার কারণগুলি বিভিন্ন কারণের উপর নির্ভর করে যেমন, বিদ্যালয়ে উপস্থিত না হওয়া, বিদ্যালয়ে নির্দেশনা অনুসরণে অসুবিধা, পড়াশোনায় আগ্রহের অভাব, প্রশ্নপত্রের অসুবিধার মাত্রা, মানসম্পন্ন শিক্ষকের অভাব, অভিভাবক, শিক্ষক এবং স্কুলের কাছ থেকে সহায়তার অভাব। উপরন্তু, শিক্ষা সংবিধানের যৌথ (কেন্দ্র ও রাজ্য) তালিকায় রয়েছে এবং বেশিরভাগ স্কুল নিজ নিজ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল সরকারের অধীনে রয়েছে।”

spot_img

Related articles

পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্পে নাম নথিভুক্তি শুরু

পরিযায়ী শ্রমিকদের সুবিধার্থে এবার আরও এক পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচির আওতায় দুয়ারে সরকার শিবিরেও...

‘নিখুঁত ভুলগুলি’, উৎপল সিনহার কলম

একটা দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান হয়ে ওঠে ...একটি দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান...

ষোলতেই ১৩০ কেজি! ছেলের খাবার জোগাতেই নাজেহাল বাবা-মা

মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি থানার কাবিলপুর পঞ্চায়েতের মথুরাপুর গ্রাম। এখানেই থাকেন দিনমজুর মুনশাদ আলি। তাঁর ছোট ছেলে জিশান আলি...

কবে থেকে শুরু জয়েন্টের কাউন্সেলিং? দিনক্ষণ জানিয়ে দিল বোর্ড

ফলপ্রকাশের পর এবার ১৫ দিনের মধ্যেই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া তথা ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করবে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। এবার কাউন্সেলিং...