গ্রাম বাংলায় ছড়িয়ে যাচ্ছে ‘জয়ী’, হাসি ফুটছে ক্ষুদ্র শিল্পীদের মুখে

গ্রামীণ এলাকায় খেলাধূলার প্রসার ও প্রচারে বর্তমান রাজ্য সরকার সব সময়ই অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে। এবার সেই প্রসারের সঙ্গে ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পের উন্নতির বিষয়টিকে জুড়ে নতুন পরিকল্পনা রাজ্য সরকারের। রাজ্য সরকারের ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প দফতরের (Micro, small and medium enterprises) মাধ্যমে ফুটবল বিলি করা হবে গ্রামীণ এলাকায়। কিছু কিছু জায়গায় ফুটবলের সঙ্গে ভলিবলও বিলি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সরকারের এই দফতরের আওতায় থাকা রিফিউজি হ্যান্ডিক্রাফ্টস (Refugee Handicrafts) নামক সংস্থা এই ফুটবল ও ভলিবল সরবরাহ করবে।

একসময় ওপার বাংলা থেকে যাঁরা এপারে এসেছিলেন তাঁদের জীবন-জীবিকার বন্দোবস্ত করতে সরকারি উদ্যোগে শুরু হয়েছিল রিফিউজি হ্যান্ডিক্রাফ্টস নামক একটি সংস্থা। বাম আমলে সংস্থাটি মৃতঃপ্রায় হয়ে যায়। ক্ষমতায় এসে তাকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সংস্থাটি চালানোর ভার তুলে দেন বাংলার প্রাক্তন তারকা ফুটবলার মানস ভট্টাচার্য, বিদেশ বসু, ক্রম্পটন দত্ত, প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়, নিমাই গোস্বামী এবং শান্তি মল্লিকের হাতে। বিভিন্ন ধরনের পোশাক তৈরি করত এই সংস্থার মহিলারা। তারপর তারা বিভিন্ন ধরনের বল তৈরি করাও শুরু করে। মুখ্যমন্ত্রী সেই বলের নামকরণ করেন ‘জয়ী’। গত কয়েক বছর ধরে ভালো ব্যবসা করেছে এই সংস্থা। একাধিক জেলায় খুলেছে একাধিক ইউনিট। তাদের তৈরি বল ও পোষাক রাজ্য সরকার কিনেও নিচ্ছে।

এই সংস্থার দ্বায়িত্বভার নিয়ে অনেকটাই স্বচ্ছন্দবোধ করছেন প্রাক্তন ফুটবলার মানস ভট্টাচার্য (Manas Bhattacharya)। বহু মহিলার কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিতে পেরে তিনি খুব নিশ্চিন্ত। এই সংস্থা বিভিন্ন জায়গা থেকে হস্তশিল্পের জিনিস কিনে অন্যত্র বিক্রিও করেন তাঁরা। এবার রাজ্য সরকারের উদ্যোগে পুরুলিয়া, শান্তিনিকেতন, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রামে ফুটবল ও ভলিবল বিলি করেছেন তাঁরা। তাঁদের চেষ্টা ও রাজ্য সরকারের সদিচ্ছায় এবার ‘জয়ী’ পৌঁছে যাবে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। ইতিমধ্যেই যে সব জায়গায় তাঁরা ঘুরেছেন সেখানে সাধারণ মানুষের মধ্যে এই বল নিয়ে প্রবল উৎসাহ দেখা গিয়েছে।

আরও পড়ুন- প্রাথমিকের পড়ুয়াদের স্কুলমুখী করতে ছুটি কমানোর সিদ্ধান্ত পর্ষদের

Previous articleপ্রাথমিকের পড়ুয়াদের স্কুলমুখী করতে ছুটি কমানোর সিদ্ধান্ত পর্ষদের
Next articleপ্রকাশিত হল মাধ্যমিকের টেস্ট পেপার!