গণতন্ত্রের উপর বুলডোজার চালিয়ে বিরোধীদের কণ্ঠরোধের প্রক্রিয়া জারি রয়েছে সংসদে। বৃহস্পতিবার নতুন করে লোকসভা থেকে সাসপেন্ড আরও তিন বিরোধী সাংসদ। কার্যত বিরোধী শূন্য কক্ষে অধিবেশন চালাচ্ছে মোদি সরকার। পাশ হচ্ছে একের পর এক বিল। গত কয়েকদিনে সংসদের দুই কক্ষ মিলিয়ে সাসপেন্ড হলেন মোট ১৪৬ জন সাংসদ।
এদিন লোকসভায় রংবোমা হানার ঘটনায় নিরাপত্তার চূড়ান্ত গাফিলতির অভিযোগ তুলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করেন কংগ্রেসের ডিকে সুরেশ, দীপক বৈজ এবং কমল নাথের পুত্র নকুল নাথ। এই ‘অপরাধে’ তাঁদের সাসপেন্ড করেন স্পিকার ওম বিড়লা। শীতকালীন অধিবেশনের (Winter Session) বাকি দিন থেকে তাঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছে।
১৩ ডিসেম্বর সাংসদ হানার পর একের পর এক বিরোধী সাংসদ লোকসভা থেকে সাসপেন্ড হচ্ছেন। ফলে লোকসভা প্রায় বিরোধীহীন হয়েছে। সোম ও মঙ্গলবার ও বুধবার মিলে সংসদের দুই কক্ষ থেকে রেকর্ড সংখ্যক বিরোধীদলের সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়। তৃণমূল, কংগ্রেস-সহ সমস্ত বিরোধী দলেরই অধিকাংশ সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তালিকায় এদিন আরও তিন জনের নাম যোগ হল। সব মিলিয়ে চলতি অধিবেশনে শুধুমাত্র লোকসভা থেকেই বহিষ্কৃত হয়েছেন ১০০ সাংসদ। এবং সংসদের দুই কক্ষ মিলিয়ে সংখ্যাটা ১৪৬ জন।