ভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি নির্বাচিত হলেন সঞ্জয় সিং। এদিন নির্বাচনে জিতে কুস্তি প্রধান হলেন তিনি। সঞ্জয় হলেন অভিযুক্ত কুস্তিকর্তা ব্রিজভূষণ শরণ সিং-এর ঘনিষ্ঠ। এরফলে ব্রিজভূষণ না থাকলেও তাঁর প্রভাব কুস্তি সংস্থায় বহাল থাকবে বলে মনে করছেন অনেকে। একই রকম মনে করছেন অলিম্পিক্সে পদকজয়ী কুস্তিগির সাক্ষী মালিক। এর প্রতিবাদে কুস্তি ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি। সেই সিদ্ধান্ত জানাতে গিয়ে কেঁদে ফেললেন অলিম্পিক্স পদকজয়ী কুস্তিগির।

এর আগে উত্তরপ্রদেশ কুস্তি সংস্থার সহ-সভাপতি ছিলেন সঞ্জয় সিং। তিনি ৪০টি ভোট পেয়েছেন। সঞ্জয় সিং-এর বিরুদ্ধে সভাপতি হওয়ার দৌড়ে ছিলেন অনিতা শেওরান। তিনি পেয়েছেন মাত্র সাতটি ভোট। চিব পদে নির্বাচিত হয়েছেন প্রেমচাঁদ লোছাব।

এদিকে ব্রিজভূষণ ঘনিষ্ঠ কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি হওয়ায় কান্নায় ভেঙে পড়েন সাক্ষী। তিনি বলেন, “৪০ দিন আমরা রাস্তায় ছিলাম। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন। তারপরেও যদি ব্রিজভূষণের ব্যবসার সঙ্গী কুস্তি ফেডারেশনের কর্তা হয়, তাহলে আমি কুস্তি দিচ্ছি।” সাক্ষী আও বলেন,” আমাকে আর কেউ কখনও কুস্তি লড়তে দেখবে না।” তাঁর পাশে ছিলেন বজরং পুনিয়া। তিনি বলেন, “আমরা আর কুস্তি লড়তে পারব কি না জানি না। রাজনীতি কী ভাবে কাজ করে জানি না।”

বজরং-সাক্ষীদের অভিযোগ ছিল মহিলা কুস্তিগিরদের যৌন হেনস্থা করেছিলেন ব্রিজভূষণ। এর জন্য যন্তর মন্তরের সামনে ধর্না দিয়েছিলেন বজরংরা। ২৮ মার্চ নতুন সংসদ ভবনের দিকে পদযাত্রা করছিলেন তাঁরা। সেই সময় দিল্লি পুলিশ গ্রেফতার করেছিল তাঁদের। ৭ জুন কুস্তিগিরেরা ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের সঙ্গে কথা বলার পর প্রতিবাদ থেকে সরে আসেন। ক্রীড়ামন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছিলেন ব্রিজভূষণের পরিবারের কেউ কুস্তি সংস্থার নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। সেটা না হলেও সঞ্জয় ব্রিজভূষণ ঘনিষ্ঠ হিসাবেই পরিচিত।


আরও পড়ুন:বছরের শুরুতেই ডার্বি, সুপার কাপে ইস্ট-মোহন মুখোমুখি ১৯ জানুয়ারি

