শুক্রবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ওড়িশা এফসির বিরুদ্ধে খেলতে নেমে গোলশূন্য ড্র করল ইস্টবেঙ্গল এফসি। এর ফলে টানা পাঁচ ম্যাচে অপরাজিত কার্লোস কুয়াদ্রাতের দল। ম্যাচে এদিন দুরন্ত পারফরম্যান্স করে লাল-হলুদ ব্রিগেড। আক্রমণে গিয়েও গোলটা শুধু এল না ইস্টবেঙ্গলের। তবে এদিন ম্যাচে ফের প্রশ্ন উঠছে রেফারিং নিয়ে। দুটি নিশ্চিত পেনাল্টি থেকে বঞ্চিত হয় লাল-হলুদ। ওই দুটো পেনাল্টি পেলে ম্যাচের ফলাফল অন্য কিছুই হতে পারত। মোহনবাগান ম্যাচের মতন এই ম্যাচেও রেফারিং নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

ম্যাচে এদিন শুরু থেকে দুই দলের ফুটবলাররাই রক্ষণ সামলে আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করে। যদিও সার্জিও লোবেরার ওড়িশা দল বিল্ড-আপ ফুটবল খেলে ম্যাচের প্রথম ১০ মিনিটের পর দিয়েই আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করে। অন্যদিকে প্রতিআক্রমণের রাস্তা বেছে নেয় কুয়াদ্রাতের দল। ম্যাচের ১৬ মিনিটে ভালো সুযোগ চলে আসে ইস্টবেঙ্গলের সামনে। লালচুংনুঙ্গা বল বাড়ায় ক্লেটন সিলভার উদ্দেশে। কিন্তু ক্লেটন সেই বল নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি। তবে এরপরই পাল্টা আক্রমণ ঝাপায় ওড়িশা এফসি। ম্যাচের ২৪ মিনিটে রয় কৃষ্ণার হেড একটুর জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। প্রথমার্ধে একাধিক আক্রমণে গেলেও প্রথমার্ধে কোন দলই গোল করতে পারেনি। প্রথমার্ধে ম্যাচের ফলাফল থাকে গোলশূন্য।
দ্বিতীয়ার্ধেও দুই দল রক্ষণ সামলে আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করে। মূলত মাঝমাঠে বলদখলের লড়াই চলে দুই দলের মধ্যে। ম্যাচের ৮২ মিনিটে নাওরেমের ক্রস থেকে হেডে গোল করার চেষ্টা করেন ক্লেইটন সিলভা। তবে তা একটুর জন্য মিস করেন তিনি। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে নিশ্চিত পেনাল্টি থেকে বঞ্চিত হয় লাল-হলুদ। বাঁ দিক থেকে মহেশের ক্রস ওড়িশার এক ডিফেন্ডারের হাতে লাগে। ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলারেরা পেনাল্টির কাতর আবেদন করলেও রেফারি কর্ণপাত করেননি। এরপর আবারও পেনাল্টির আবেদন করে ইস্টবেঙ্গল দল কিন্তু রেফারি সেন্থিল নাথান ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারদের আবেদনে সাড়া দেননি। শেষমেশ খেলা শেষ হয় ০-০ ফলাফলে।

আরও পড়ুন:অভিষেক টেস্টেই অর্ধশরান, নজির গড়ে কী বললেন বাংলার রিচা?
