নির্বিঘ্নে শেষ ২০২৩ টেট, ‘আশাবাদী’ উৎসাহী পরীক্ষার্থীরা

পরীক্ষা শেষে পরীক্ষার্থীরা জানান, ফলাফল নিয়ে তাঁরা যথেষ্ট আশাবাদী

রবিবার দুপুরে নির্বিঘ্নেই শেষ হল ২০২৩ প্রাথমিকের টেট (TET)। গোটা রাজ্যের ৭৭৩টি কেন্দ্রে টেট নিয়ে কোনও অনিয়ম বা গণ্ডগোলের দিকে নজর রেখেছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ (WBBPE)। একটি কন্ট্রোল রুম খুলে পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষার্থীরা ঢোকার সময় থেকে নজরদারি চালানো হয় সিসিটিভি-র মাধ্যমে। পরীক্ষার আগেই পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের কী কী বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে তা নিয়ে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল পর্ষদের পক্ষ থেকে।

রবিবার বেলা ১২টায় টেট শুরু হয়। ১১টার মধ্যে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। তা সত্ত্বেও যানজটে আটকে পড়েন শহরের বেশ কিছু কেন্দ্রের পরীক্ষার্থীরা। ব্রিগেডে গীতাপাঠের অনুষ্ঠানের জন্য যানজটে আটকে পড়ার কথা জানান অনেক পরীক্ষার্থী। তবে বিশেষ অনুমতিতে তাদেরও পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে দিয়ে দেওয়া হয়। পরীক্ষা শেষে পরীক্ষার্থীরা জানান, ফলাফল নিয়ে তাঁরা যথেষ্ট আশাবাদী। অনেকেই জানান, তাঁরা গতবছর বা তার আগেও টেট-এ অংশগ্রহণ করেছেন। তা সত্ত্বেও অত্যন্ত স্পোর্টিং স্পিরিটের সঙ্গে ২০২৩ টেট-এ অংশ নিয়েছেন। তাঁদের লক্ষ্য যাতে স্কোর (score) আগের থেকে ভালো করা যায়।

তবে অনেক পরীক্ষার্থী আবার জানিয়েছেন অঙ্কের প্রশ্নপত্র কঠিন ছিল। অনেকের দাবি অঙ্কের সিলেবাসের (syllabus) বাইরে থেকে প্রশ্ন আসারও দাবি করেছেন অনেকে। তবে সামগ্রিকভাবে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে গোটা রাজ্যেই যথেষ্ট উৎসাহ দেখা গিয়েছে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকেও পরীক্ষার্থীদের উৎসাহ দেওয়া হয়। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের কথায়, প্রশাসন স্বচ্ছতার সঙ্গে পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে। রাজ্য সরকার নিয়োগের চেষ্টা করছে, মামলা করে সেটা আটকে রাখা হয়েছে। জয়েন্ট এন্ট্রান্সের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, জয়েন্টে উত্তীর্ণ হলেই মেডিক্যাল বা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া যাবে এমন ছিলনা। সেরকমই কোনও এন্ট্রান্স পরীক্ষা দেওয়া মানেই শূন্যপদের মধ্যে ঢুকে পড়া যাবে, এটা কোনও সিস্টেমেই নেই, স্মরণ করিয়ে দেন তিনি।

পরীক্ষার শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে নির্বিঘ্নে টেট সম্পন্ন হওয়ার দাবি করেন পর্ষদের সহসচিব পার্থ কর্মকার। আগেরবারের মতই পরীক্ষার্থীদের মডেল আনসার কি (model answer key) – দিয়ে সময় দেওয়া হবে চ্যালেঞ্জ (challenge) করার জন্য। প্রয়োজনে তৃতীয় মতামতও নেওয়া হবে, তারপরেই হবে ফল প্রকাশ। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের যে অভিযোগ উঠেছে তা নিয়ে সহসচিব তদন্তের দাবি করেন। অসাধু ব্যক্তি এত বড় উদ্যোগকে কালিমালিপ্ত করতে এধরনের কাজ করেছেন বলে তিনি দাবি করেন। পাশাপাশি তদন্তে সঠিক অপরাধীকে চিহ্নিত করার কথাও বলেন। পর্ষদ সভাপতি গৌতম পালের দাবি পরীক্ষা শুরু একঘণ্টা পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্নপত্র পাওয়া গেলে তাকে প্রশ্নপত্র ফাঁস বলে না।

তবে পর্ষদের থেকে ব্যাখ্যা চেয়েছেন বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। যারা পরীক্ষা শেষ হওয়ার আগে বেরিয়ে এসেছে তাদের মধ্যে থেকে কেউ করেছে। পরীক্ষাহলের মধ্যে থাকা পরীক্ষার্থীদের কারো পক্ষে সেই প্রশ্ন পাওয়া সম্ভব না বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী।

Previous articleশক্তিশালী চুম্বক তৈরির প্রযুক্তি আর দেশের বাইরে পাঠাবে না চিন! 
Next articleসা.সপেন্ড জাতীয় কুস্তি সংস্থার সদ্য নবনির্বাচিত কমিটি, এবার রাস্তায় ফেলা আসা পদ্মশ্রী ফেরত পেতে চান বজরং