অ্যাডিনো ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে সতর্কবার্তা। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের কাছে এই বার্তা পাঠিয়েছে ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ’। কলকাতা ও সংলগ্ন জেলাগুলির সরকারি হাসপাতালে ভর্তি থাকা অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত শিশু ও কিশোরদের কফের নমুনা পরীক্ষা করে ICMR-এর গবেষকরা জানিয়েছেন, বেশ কিছু ক্ষেত্রে বিপজ্জনক প্রজাতি ‘B7/3’’ ভাইরাসের হদিশ মিলেছে।

আইসিএমআরের অধীনস্থ সংস্থা কলকাতার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কলেরা অ্যান্ড এন্টেরিক ডিজিজেস, NICED-এর গবেষকেরা কলকাতা ও এর সংলগ্ন জেলাগুলির সরকারি হাসপাতালে ভর্তি থাকা ৩১১৫ জন রোগীর ওপর পরীক্ষা চালিয়ে ১২৫৭ জনের দেহে অ্যাডিনো ভাইরাস পেয়েছেন। এদের মধ্যে ৪০ জন ‘বি৭/৩’ প্রজাতির অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত। আক্রান্তদের মধ্যে ৯৭ শতাংশের শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত গুরুতর ছিল। পরে এদের অনেকের মৃত্যুও হয়।
ওই গবেষকরা জানিয়েছেন, অ্যাডিনোভাইরাসের এই প্রজাতির মারণ-ক্ষমতা অত্যন্ত বেশি। এর আগে কখনও পশ্চিমবঙ্গে বা ভারতের কোথাও অ্যাডিনোর এই ধরনের প্রজাতির কথা নথিভুক্ত হয়নি। এ প্রসঙ্গে নাইসেডের প্রধান শান্তা দত্ত জানিয়েছেন, অ্যাডিনোর এই বিপজ্জনক প্রজাতি সম্পর্কে রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিবকে জানানো হয়েছে। অ্যাডিনোভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে এবং তা রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের কাছে পাঠানো হচ্ছে বলে জানান তিনি।
