হরিয়ানায় কুস্তির আখড়ায় প্র.তিবাদী কুস্তিগিরদের সঙ্গে সাক্ষাত রাহুলের,ঘোষণা ‘ভারত ন্যায় যাত্রা’

সাত সকালে কুস্তির আখড়ায় তাঁদের সঙ্গে কুস্তি লড়তেও দেখা গেল রাহুলকে

হরিয়ানার ঝাঝড় জেলার এক কুস্তির আখড়ায় জমায়েত হয়েছিল প্রতিবাদী কুস্তিগিরদের। বুধবার সকালে হরিয়ানায় বীরেন্দ্র আর্য্য অখড়ায় দেখা গেল কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে। সেখানেই প্রশিক্ষণ নেন অলিম্পিক পদকজয়ী তারকা কুস্তিগির বজরং পুনিয়া। সেখানে বজরঙের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন রাহুল। তাঁকে দেখে মুখে হাসি ফুটল কুস্তিগিরদের। রাহুলকে নিয়েই মাটিতে গোল হয়ে বসলেন আন্তর্জাতিক পদকজয়ী দেশের তরুণ কুস্তিগিরেরা। সাত সকালে কুস্তির আখড়ায় তাঁদের সঙ্গে কুস্তি লড়তেও দেখা গেল রাহুলকে!

পদ্মশ্রী সম্মান ফেরৎ দেওয়ার জন্য সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন অলিম্পিক্সে ব্রোঞ্জ পদকজয়ী বজরং পুনিয়া। কিন্তু তাঁর দেখা না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে সংসদের বাইরে রাস্তায় নিজের পদ্মশ্রী পদক ছুড়ে ফেলে দিয়ে এসেছিলেন তিনি। এর পর তাঁর মতোই প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন দেশের অন্য কুস্তিগিরেরাও। বিভিন্ন জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় পাওয়া পদক ফেরাতে শুরু করেছিলেন তাঁরা। বজরংও জানিয়েছিলেন, যতদিন না যৌন হেনস্থার শিকার হওয়া তাঁর কুস্তিগির ভাই-বোনেরা দেশের সরকারের কাছ থেকে সুবিচার পাচ্ছেন, ততদিন তিনি পদ্মশ্রী সম্মান ফিরিয়ে নেবেন না।বুধবার হরিয়ানার ঝাঝড়ে বীরেন্দ্র আর্য আখড়ায় সেই প্রতিবাদেই জমায়েত চলছিল। বজরং ছাড়াও সেখানে ছিলেন অলিম্পিক্স পদকজয়ী সাক্ষী মালিক, তারকা কুস্তিগির বিনেশ ফোগট-সহ অনেকেই। সেখানেই এসে হাজির হন কংগ্রেস নেতা রাহুল। বলেন, আমাদের কুস্তিগিরদের দিন কেমন ভাবে কাটে, উনি (রাহুল) তা-ই দেখতে এসেছিলেন। আমাদের দৈনিক রুটিন সকাল থেকে কী ভাবে শুরু হয়, আমরা কী ভাবে কুস্তি অভ্যাস করি, সবই দেখলেন। নিজেও আমাদের সঙ্গে কুস্তি অভ্যাস করেছেন।

সাম্প্রতিককালে কুস্তি ফেডারেশনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন বজরং, সাক্ষী মালিকরা। বিজেপি সাংসদ তথা প্রাক্তন ফেডারেশন প্রধান ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনে তাঁর গ্রেফতারির দাবিতে সরব বজরংরা। এরই মাঝে সদ্য অনুষ্ঠিত ফেডারেশন নির্বাচনে জয়ী হন ব্রিজভূষণ ঘনিষ্ঠ সঞ্জয় সিং। এরপরই বজরং প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে গিয়ে পদ্মশ্রী পদক রেখে দিয়ে আসেন। অবসর গ্রহণ করেন সাক্ষী মালিক। সাক্ষীদের সঙ্গে এই আবহে দেখা করেছিলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। আর এবার বজরঙের আখড়ায় রাহুল গান্ধী।

ব্রিজভূষণের অপসারণের জন্যই এর আগে আন্দোলনে নেমেছিলেন বজরং, সাক্ষীরা। সরব হয়েছিলেন দেশের অন্য কুস্তিগেরেরাও। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ব্রিজভূষণকে সরানো হলেও তাঁরই ঘনিষ্ঠকে বসানো হয় ডব্লুএফআইয়ের মাথায়। তাতে পরিস্থিতির কোনও বদল হবে না বলেই মত বজরংদের। আর এ ব্যাপারে দেশের প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা না পেয়ে ক্ষুব্ধ তাঁরা।
এদিকে কংগ্রেসের তরফ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে, ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’র ধাঁচে এবার ‘ভারত ন্যায় যাত্রা’ করবেন রাহুল গান্ধী। ১৪ জানুয়ারি থেকে ২০ মার্চ পর্যন্ত চলবে কংগ্রেসের ভারত ন্যায় যাত্রা। মণিপুর থেকে এই যাত্রা শুরু হয়ে শেষ হবে মুম্বইতে। এই পদযাত্রাকালে ১৪টি রাজ্যের ওপর দিয়ে প্রায় ৬ হাজার ২০০ কিমি পথ হাঁটবেন রাহুল গান্ধী। এই যাত্রাকালে পশ্চিমবঙ্গের ওপর দিয়ে যাবেন রাহুল।

Previous articleদু.র্ঘটনা রুখতে নয়া পদক্ষেপ! মা উড়ালপুলে পুলিশ মোতায়েনের সিদ্ধান্ত লালবাজারের
Next articleসজলকে বাবার বন্ধবী ‘খুনে’র ঘটনার কথা মনে করিয়ে দিয়ে আক্রমণ কুণালের