মাংস ‘নিষিদ্ধ’ মণিপুরে, ফতোয়া জারি বিজেপি ‘সমর্থিত’ মেইতি গোষ্ঠীর

ভাঙচুর শুরু হয়ে যায় মাংসের দোকানগুলিতে। হামলাকারীদের সঙ্গে পুলিশকেও দেখা যায়।

ক্ষমতায় এসেই মধ্যপ্রদেশে আমিষ নিষিদ্ধ করেছে বিজেপি শাসিত সরকার। এবার হিংসা কবলিত মণিপুরে নতুন করে মাংসের ওপর ফতোয়া জারি করে অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগ বিজেপি তথা আরএসএস সমর্থক মেইতি আরামবাই টেংগল (Arambai Tenggol) গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। অস্ত্র হাতে প্রায় শতাধিক টেংগল সমর্থক একের পর এক মাংসের দোকানে ভাঙচুর চালায়, আর সেই ভিডিও ভাইরাল (viral video) হয় নেট দুনিয়ায়।

ডিসেম্বরের শুরু থেকেই বেশ শান্তির পরিবেশ মণিপুরে। অনেকটাই পিছু হঠেছে কুকি গোষ্ঠী। সেই সব জায়গার দখল নিয়েছে মেইতেই গোষ্ঠী। বিজেপির সমর্থনে মেইতি গোষ্ঠী গোটা রাজ্যের ওপর দখলদারি চালাতে পারছে বলেই দাবি বিরোধীদের। তবে মেইতিদের মূল লক্ষ্য কুকিরা হলেও এবার তাদের হিংসার শিকার নাগা ও গোর্খারাও। এমনকি পুলিশের সমর্থনেই এই আক্রমণ বলে ভাইরাল ভিডিও ছড়িয়ে দাবি করা হয়েছে।

মণিপুরের কাংলাটনবি বাজার এলাকায় এতদিন কুকি, নাগা ও গোর্খাদের বসতি ছিল। তবে কুকিরা সেই এলাকা ছেড়ে জঙ্গলে পিছু হঠেছে। এই এলাকায় নাগাদের প্রায় ২০০ পোল্ট্রি মাংসের (poultry meat) দোকান রয়েছে। ভাইরাল ভিডিও-তে দেখা যায় প্রায় শতাধিক মেইতি আরামবাই টেংগল গোষ্ঠীর যুবক অস্ত্র হাতে সেখানে চড়াও হয়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ভাঙচুর শুরু হয়ে যায় মাংসের দোকানগুলিতে। হামলাকারীদের সঙ্গে পুলিশকেও দেখা যায়। এমনকি বেশ কিছু পুলিশকে দোকান ভাঙচুর করতেও দেখা যায়।

ফিরে যাওয়ার আগে হামলাকারীরা হুমকি দিয়ে যায়, মণিপুর মেইতিদের। মেইতিরা বৈষ্ণব, নিরামিশভোজী। তাই মেইতি রাজ্যে মাংসের ব্যবসা করা যাবে না। যদিও পুলিশকে এদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। এর থেকে বোঝা যায় মেইতিদের এই হামলায় সমর্থন রয়েছে বিরেন সিংয়ের বিজেপি সরকারেরও।