Thursday, August 21, 2025

হাসপাতালে ভর্তি হয়ে সুস্থভাবে বাড়ি ফেরার অনেকটাই ওদের হাতে। ওরা চাইলে পলকের মধ্যে মুমূর্ষু রোগী চিকিৎসার দিশা দেখেন। আবার ওদের নজর এড়িয়ে গেলে অসুস্থ রোগীর অবস্থা আরও গুরুতর হয়ে পড়তে পারে। কিন্তু ওরা যে বেঁচে থাকার মনের জোর দিতে আজও সবার ওপরে তা আরও একবার প্রমাণ করলেন বীরভূমের রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের (Rampurhat Medical College and Hospital) নার্স রিয়া দাস। সাতদিনের শিশুকে বুকে তুলে রক্ষা করলেন মায়ের মতো।

শিশুটি অসুস্থতা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলে তার মাও সঙ্গে হাসপাতালেই রাত কাটাচ্ছিলেন। এর মধ্যে তিনি জ্বরে আক্রান্ত হন। বৃহস্পতিবার রাতে শিশুর মা এতই অসুস্থ হয়ে পড়েন যে শিশুটিকে তুলে খাওয়ানোর ক্ষমতাও তাঁর ছিল না। সেই সময় ওখানে ডিউটিতে ছিলেন নার্স রিয়া দাস। নিজের ১০ মাসের শিশুকে ঘরে রেখে হাসপাতালের কর্তব্য পালন করেন রিয়া। অত রাতে ছোট্ট শিশুকে কাঁদতে দেখে হয়তো ঘরে রেখে আসা নিজের সন্তানের কথাই মনে পড়েছিল তাঁর।

সাত দিনের শিশুকে বুকে তুলে নিয়ে স্তন্যপান করান রিয়া। তাতেই শেষ পর্যন্ত শান্ত হয় শিশুটি। সেই রাতে ওর মায়ের অভাব এভাবেই পূরণ করে নার্স রিয়া। তাঁর এই কাজে গর্বিত গোটা মেডিক্যাল কলেজ। হাসপাতালের অন্য নার্স থেকে আধিকারিক সকলেই বলছেন একজন প্রকৃত নার্সের সেবার ধর্মকে তুলে ধরে রিয়াই আজ তাদের গর্ব।

Related articles

যোগীরাজ্যের পাঠ্যপুস্তকে বাদ কেন রবীন্দ্রনাথকে? সাংসদ ঋতব্রতর প্রশ্নে অস্বস্তিতে কেন্দ্র

উত্তরপ্রদেশের দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে কি বাদ দেওয়া হয়েছে? তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্নে স্পষ্টতই...

প্রয়াত সিপিএম নেতা-প্রাক্তন মন্ত্রী দীনেশচন্দ্র ডাকুয়া

প্রয়াত সিপিএমের বর্ষীয়ান নেতা দীনেশচন্দ্র ডাকুয়া। বুধবার এনআরএস হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর।...

উপাচার্য নিয়োগের ইন্টারভিউয়ে ডাক মেলেনি! শীর্ষ আদালতে শান্তা দত্ত 

স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের ইন্টারভিউ পর্বে ডাক পাননি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য শান্তা দত্ত। যোগ্য হয়েও তাঁকে সুযোগ দেওয়া...

১৫ দিনেই রেকর্ড সাফল্য! রাজ্যে সাড়া ফেলল ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচি

মাত্র পনেরো দিনেই নজির গড়ল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নতুন কর্মসূচি, ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’। রাজ্যের মানুষের হাতে উন্নয়নের...
Exit mobile version