Sunday, November 9, 2025

প্রজাতন্ত্র দিবসে ফের বাতিল বাংলার ‘কন্যাশ্রী’ ট্যাবলো! অবিজেপি রাজ্য বলেই ব.ঞ্চনা

Date:

বাংলার (Bengal) প্রতি ফের একবার বঞ্চনার অভিযোগ কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। প্রজাতন্ত্র দিবসে (Republic Day) ফের কোপ বাংলার ট্যাবলোয়। কুচকাওয়াজে বাতিল বাংলার ‘কন্যাশ্রী’ ট্যাবলো (Kanyashree Tableau)। ২০১৫ সালে ‘কন্যাশ্রী’তে সাজিয়ে ট্যাবলোর প্রস্তাবনা কেন্দ্রের কাছে পাঠিয়েছিল বাংলা। তা পত্রপাঠ খারিজ হয়ে যায়। ৯ বছর পর ফের বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে বাংলার ট্যাবলোকে। ফলে চব্বিশের সাধারণতন্ত্র দিবসে দিল্লির (Delhi) কর্তব্যপথে থাকছে না বাংলা।

তবে শুধু বাংলা নয়, কোপ পড়েছে আরও কয়েকটি অবিজেপি রাজ্যের উপরও। বিহার, দিল্লি, পাঞ্জাব, কেরলের মতো বিরোধী রাজ্যগুলির ট্যাবলোও আগামী ২৬ জানুয়ারির অনুষ্ঠান থেকে ছেঁটে ফেলা হয়েছে বলে দাবি তৃণমূলের। এবং পুরোটাই রাজনৈতিক কারণে। তা না হলে রাষ্ট্রসঙ্ঘে স্বীকৃতি পাওয়ার পরও কীভাবে কন্যাশ্রী জাতীয় মঞ্চে স্থান পায় না? এক দশক ধরে চলছে কন্যাশ্রী। উপকৃত হয়েছেন ৮১ লক্ষেরও বেশি উপভোক্তা, আর খরচ হয়েছে ১৬ হাজার কোটি টাকারও বেশি। তারপরও বাংলার সাফল্য হিসেবে একে সাধারণতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে তুলে ধরা যাবে না?

ট্যাবলো নির্বাচনের দায়িত্ব থাকে কেন্দ্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বিশেষজ্ঞ দলের উপর। একাধিক ধাপ অতিক্রম করে তবেই মেলে অংশগ্রহণের ছাড়পত্র। এবছর ডিজাইন বা নকশা যাচাই পর্যায়েই শেষ, মডেল ডেমনস্ট্রেশনের জন্য আর ডাক পাননি নবান্নের আধিকারিকরা। এই নিয়ে একইভাবে ২০১৫ সাল থেকে কন্যাশ্রী ছাড়াও তিনবার বাংলাকে দিল্লির কুচকাওয়াজে অংশ গ্রহণ করা থেকে বাদ দিয়েছে কেন্দ্র। ২০২২ সালে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে নিয়ে ট্যাবলো করতে চেয়েছিল রাজ্য। করতে দেওয়া হয়নি। ২০২০ সালে ‘সেভ ওয়াটার সেভ লাইফ’ এবং ২০১৮ সালে ‘একতাই সম্প্রীতি’।

এ প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ‘কন্যাশ্রী যেহেতু এই ধরনের প্রকল্পের পথিকৃৎ, তাই কখনওই একে প্রচারে আনতে দেবে না কেন্দ্র। এর অনুকরণেই ওরা বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও প্রকল্প চালু করেছে। সেই কারণেই ওরা বাংলার প্রচার চায় না। তবে এসব করেও ভোটে জিততে পারবে না।’

শেষ খবর পাওয়া অনুযায়ী কন্যাশ্রীর সেই ট্যাবলো প্রজাতন্ত্র দিবসে নয়  ভারতপর্বে দেখানোর কথা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।  বৃহস্পতিবার এই বিষয়টি জানিয়ে দিল্লিতে রাজ্যের রেসিডেন্ট কমিশনে মেল করা হয়। সেই মেল পাঠানো হয়েছে কলকাতায়। এখন রাজ্য সরকারই সিদ্ধান্ত নেবেন পরবর্তী পদক্ষেপের । 

 

 

Related articles

এপিকের সঙ্গে মোবাইল লিঙ্ক না থাকলে অনলাইনে ফর্ম নয়! কমিশনের নিয়মে ক্ষোভে ফুঁসলেন কল্যাণ 

নির্বাচন কমিশনের নতুন নির্দেশিকা ঘিরে ফের রাজনৈতিক বিতর্ক। রবিবার শ্রীরামপুর পুরসভার ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে ভোট রক্ষা শিবিরে অংশ...

ফাইনাল ম্যাচে শাহরুখের মন্ত্রেই ছাত্রীদের তাতিয়ে ছিলেন? অকপট স্মৃতিদের কোচ

ভারতীয় মহিলা দল বিশ্বকাপ জেতার পরই চক দে ইন্ডিয়ার কবীর খান হয়ে উঠেছেন অমল মুজুমদার(Amol Muzumdar)। কী বলে...

এসআইআর আতঙ্কে মৃতদের পরিবারের পাশে তৃণমূল: রাজ্যজুড়ে শোকাহত পরিবারগুলির ঘরে দলের জনপ্রতিনিধিরা 

এসআইআর আতঙ্কে রাজ্যজুড়ে মৃত্যুর ঘটনা ক্রমশ বাড়ছে। কোথাও আত্মহত্যা, কোথাও আতঙ্কে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু— ভয় ছড়িয়ে পড়েছে গ্রাম...

বাংলাভাষায় ১০ কোটিও খরচ নয়! বাঙালিবিদ্বেষী বিজেপির রবীন্দ্র-বঙ্কিম ভাগে তোপ গণমঞ্চের

বিজেপি আদতে বাঙালি বিদ্বেষী, তা সাম্প্রতিক সময়ে বারবার প্রত্যক্ষভাবে প্রমাণিত। সেই বিদ্বেষের বিরুদ্ধে বারবার সরব হয়েছে দেশ বাঁচাও...
Exit mobile version