মধ্যরাতে আচমকাই বাতিল বিমান, এয়ার ইন্ডিয়ার কীর্তিতে চ.রম ক্ষু.ব্ধ যাত্রীরা

যত কাণ্ড এয়ার ইন্ডিয়াতে (Air India)! ফের সংবাদ শিরোনামে উঠে এল এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান। সংস্থাটির অবস্থা এমন চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে যে পর্যাপ্ত কর্মী (Crew) না থাকার কারণে এবার বাতিলই হয়ে গেল উড়ান। হ্যাঁ, শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। জোর করে বেসরকারিকরণের (Privatization) ফল যে কত ভয়ঙ্কর হতে পারে তা আরও একবার হাতেনাতে প্রমাণ দিল মোদি সরকার (Modi Govt)। সূত্রের খবর, পর্যাপ্ত কর্মী না থাকায় বাতিল করে দেওয়া হয় এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান। যার জেরে মধ্যরাতে বিমানবন্দরে চরম হেনস্থার শিকার হতে হয় যাত্রীদের (Passengers)।

তবে যাত্রীদের অভিযোগ, বিমান আচমকা বাতিল হলেও অন্য কোনও বিকল্প বিমানের ব্যবস্থাও তাঁদের জন্য করে দেওয়া হয়নি। বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে দিল্লি থেকে পুণের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা ছিল এয়ার ইন্ডিয়ার এআই-১৮৫১ বিমানের। কিন্তু অভিযোগ, মধ্যরাত পর্যন্ত যাত্রীদের অপেক্ষা করিয়ে আচমকা বিমান বাতিলের ঘোষণা করা হয়। পাশাপাশি যারা পুণে যেতে চেয়েছিলেন, কী ভাবে তাঁরা পৌঁছবেন, তাও বলে দেওয়া হয়নি। এমনকি, বিমান সংস্থার তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, আগামী ১ জানুয়ারি পর্যন্ত পুণের আর কোনও বিমান নাকি তাঁদের কাছে নেই। এরপরই হুলস্থূল পড়ে যায় বিমানবন্দরে। অনেক যাত্রীকেই ওই রাতে দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে হোটেলের বন্দোবস্ত করতে হয় বলে খবর।

তবে আচমকা বিমান বাতিলের ঘোষণা শুনে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে যাত্রীদের। কেউ কেউ কেঁদে ফেলেন বিমানবন্দরে দাঁড়িয়েই। তাঁদের বিমানভাড়া ফেরত দেওয়া হবে বলে জানান কর্তৃপক্ষ। অথবা, কেউ চাইলে পরবর্তী বিমানের জন্য অপেক্ষাও করতে পারতেন। তবে পুণে যাওয়ার পরবর্তী বিমান ১ তারিখের আগে পাওয়া যাবে না। বেশিরভাগ যাত্রীই কোনও রকমে রাত কাটিয়ে শুক্রবার অন্য সংস্থার বিমান ভাড়া করে গন্তব্যে পৌঁছন বলে খবর। এদিকে এয়ার ইন্ডিয়ার তরফে সাফাই দিয়ে জানানো হয়েছে, দিল্লিতে ঘন কুয়াশার কারণে অনেক বিমান সময়ে পৌঁছতে পারছে না। সেকারণে এয়ার ইন্ডিয়ায় কর্মীর অভাব দেখা দিয়েছে। বহু কর্মী একাধিক বিমানে আটকে পড়েছেন বলে জানানো হয়েছে। আর সেকারণেই এমন বিপত্তি।