অযোধ্যা মামলার রায়ে কারও একক কৃতিত্ব নেই: অতীত খুঁড়লেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়

২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর অযোধ্যা রাম মন্দির মামলায় রায় ঘোষণা করেছিল দেশের শীর্ষ আদালত। সেই রায়ের প্রেক্ষিতেই আগামী ২২ জানুয়ারি রাম মন্দির উদ্বোধন হতে চলেছে অযোধ্যায়। ঠিক এমনই মহেন্দ্রক্ষণে অতীত খুললেন দেশের প্রধান বিচারপতি তথা তৎকালীন রায়দানকারী ৫ সদস্যের বেঞ্চের অন্যতম সদস্য বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। তিনি জানালেন, এই রায় ঐক্যবদ্ধভাবেই ঘোষণা করেছিল পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ। কোনও বিচারপতি ব্যক্তিগতভাবে এর কৃতিত্ব দাবি করতে পারেন না। সমষ্টিগতভাবেই রায় ঘোষণা হয়েছিল সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যকে সামনে রেখেই।

সংবাদসংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, কোনও বেঞ্চ রায় ঘোষণার আগে বিচারপতিরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা সেরে নেন। অযোধ্যা মামলার ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। আমরা বিচারপতিরা তখনই সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম এই রায় উচ্চারিত হবে আদালতের সম্মিলিত কণ্ঠেই। কোনও বিচারকেরই এতে একক কৃতিত্ব থাকবে না। চন্দ্রচূড়ের কথায়, এই মামলাটিতে দেশের ইতিহাসকে কেন্দ্র করে নানাবিধ মতামত, দ্বন্দ্ব দেখে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম এই রায় হবে আদালতেরই। একই কণ্ঠে ঘোষিত হবে রায়। যাতে বোঝা যায় সমস্ত দিক, নানাবিধ কারণ বিচার-বিশ্লেষণ করে বিচারপতিদের বেঞ্চ সর্বসম্মতভাবেই রায় ঘোষণা করল। এর বেশি কিছু আর বলেননি চিফ জাস্টিস অব ইন্ডিয়া।

উল্লেখ্য, তৎকালীন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন সেই বেঞ্চে ছিলেন চন্দ্রচূড়। রাম জন্মভূমি ও বাবরি মসজিদকে কেন্দ্র করে দীর্ঘ সময় ধরে চলা আইনি প্রক্রিয়ায় যবনিকা পড়েছিল শীর্ষ আদালতের রায়েই। গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছিল, যে জায়গা নিয়ে বিবাদ সেখানে রাম মন্দির স্থাপন করা যাবে। একইসঙ্গে অযোধ্যা শহরের মধ্যেই ৫ একর জমি বরাদ্দ করতে হবে মসজিদ নির্মাণের জন্য।

Previous articleট্রুডো সরকারের নীতির কারণেই কানাডায় দৌরাত্ম্য বাড়ছে খলিস্তানপন্থীদের, অভিযোগ জয়শঙ্করের
Next article‘দমদম উৎসব’ সূচনায় ‘দুর্বাদলশ্যাম’ উল্লেখ করে বিজেপির রামরাজ্যকে কটাক্ষ ব্রাত্য বসুর