আজ কী ঘটেছিল?

সুকুমার সেন(১৮৯৮-১৯৬৩) এদিন জন্মগ্রহণ করেন। প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে পাশ করে সুকুমার সেন পড়তে যান লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে গণিতে স্বর্ণপদক পেয়েছিলেন। এর পর পশ্চিমবঙ্গের প্রথম মুখ্যসচিব, ভারতের প্রথম নির্বাচন কমিশনার, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য। তিনিই প্রথম ভারতীয় নাগরিক যিনি পদ্মবিভূষণ পান। ১৯৫২-তে ভারতের প্রথম নির্বাচন পরিচালনা করতে গিয়ে একটি সমস্যার মুখে পড়েছিলেন সুকুমার সেন। দেশের বহু মহিলা ভোটার নির্বাচক তালিকা তৈরির সময় নিজের নাম বলেননি, পরিচয় দিয়েছিলেন তাঁদের বাবা, স্বামী বা ছেলের নামে। বিষয়টাকে অন্য একটা দৃষ্টিকোণ থেকে দেখেছিলেন ভারতের প্রথম মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। অমুকের মা বা স্ত্রীর পরিচয়-লেখা ভোটারদের তিনি তালিকা থেকেই বাদ দিয়েছিলেন। যুক্তি ছিল, পরবর্তী নির্বাচনে অন্তত ভোট দেওয়ার জন্য এই কুসংস্কার কিছুটা কাটবে। আন্তর্জাতিক ইলেকশন কমিশনের সভাপতি হিসেবে সুদানে ১৯৫৩-তে সাধারণ নির্বাচন পরিচালনা করেন। তাই, সুদানের একটি প্রধান রাস্তা তাঁরই নামে নামাঙ্কিত। বর্ধমানের একটি রাস্তাও তাঁরই নামে নামাঙ্কিত। সুকুমার সেনের অন্য দুই ভাইও নিজের নিজের ক্ষেত্রে বিখ্যাত। একজন, অশোককুমার সেন ছিলেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী। আর একজন, অমিয়কুমার সেন ছিলেন চিকিৎসক, রবীন্দ্রনাথের মৃত্যুদিনে ছিলেন তাঁর সঙ্গে।

১৯৪৪ শমিত ভঞ্জ (১৯৪৪-২০০৩) এদিন মেদিনীপুরের তমলুক শহরে জন্ম নেন। চলচ্চিত্র অভিনেতা। সত্যজিৎ রায়, মৃণাল সেন, তপন সিংহ, গৌতম ঘোষ প্রমুখ পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করেছেন। অভিনয় করবেন বলে বাবার সঙ্গে ঝগড়া করে বাড়ি ছেড়েছিলেন। গান শিখেছিলেন নিজের চেষ্টায়। ছোট থেকে সুন্দর তবলা বাজাতেন। কেরামতুল্লার কাছে তালিম নিয়েছিলেন। পরবর্তী কালে তিনি তাঁর তৃতীয় চলচ্চিত্রে আবির্ভূত হন একজন তবলাবাদক রূপেই, বলাই সেনের ‘সুরের আগুন’ ছবিতে ১৯৬৫ সালে। তাঁর প্রথম দু’টি ছবি ‘নিশাচর’ ও ‘বাদশা’য় তিনি ছিলেন ভিড়ের দৃশ্যে। অনুমতির তোয়াক্কা না করে, তপন সিংহের মতো নামী পরিচালকের ঘরে ধাক্কা দিয়ে ঢুকে বলেছিলেন, “অভিনয় করতে চাই।” তপন সিংহ তাঁকে হতাশ করেননি। শমিতকে ‘হাটে বাজারে’ ছবিতে একজন মোটর মেকানিকের চরিত্রে নির্বাচন করেছিলেন। সুযোগ আসতেই ‘ছেনো’ হয়েও আপামর বাঙালির হৃদয় জয় করে নিয়েছিলেন। আসলে অভিনেতা হিসেবে তাঁর জায়গা হওয়া উচিত ছিল হলিউডের ক্লিন্ট ইস্টউড, লি ভন ক্লিফ বা ডেনজেল ওয়াশিংটনের মতো অভিনেতাদের পাশেই। কিন্তু কপালদোষে বাংলা সিনেমার প্রথম ‘আধুনিক নায়ক’কে সেদিন চিনতে পারেননি কেউ। মারণ রোগের সঙ্গে যুঝতে যুঝতে শেষ ছবি ‘আবার অরণ্যে’তে অভিনয়ের ডাক পেয়ে অবশ্যম্ভাবী মৃত্যুকে থমকে দিয়ে বলে উঠেছিলেন, ‘ফ্যান্টাস্টিক!’

 

১৮৯২ নীলরতন ধরের (১৮৯২-১৯৮৬) জন্মদিন। প্রখ্যাত বিজ্ঞান সাধক। শিক্ষা জীবনে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সব ক্ষেত্রে প্রথম। এমএসসি-তে রেকর্ড নম্বর পেয়েছিলেন বলে ২০টি সোনার মেডেল, গ্রিফিথ পুরস্কার ও এশিয়াটিক সোসাইটির দেওয়া পুরস্কার পান। প্রথম জীবনের বিখ্যাত কাজ ইন্ডিউসড অ্যান্ড ফোটো কেমিক্যাল রিঅ্যাকশন। মৌলিক গবেষণা পত্রের সংখ্যা ৬০০-র বেশি। ৯৪ বছর বয়সেও নাইট্রোজেন ফিকশন নিয়ে গবেষণা করেছেন। নোবেল পুরস্কার কমিটিতে রসায়ন বিভাগের অন্যতম বিচারক ছিলেন। পদ্মশ্রী দিতে চাইলে, সবিনয়ে প্রত্যাখ্যান করেন। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থ দান করেছেন। শেষ সাত বছরের উপার্জন তুলে দিয়েছিলেন এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়কে।

১৮৯৬ খগেন্দ্রনাথ মিত্র (১৮৯৬-১৯৭৮) এদিন জন্মগ্রহণ করেন। প্রখ্যাত শিশু সাহিত্যিক। ‘ভোম্বল সর্দার’, ‘বাগদি ডাকাত’, ‘পাতালপুরীর কাহিনি’, ‘আবিষ্কারের কাহিনি’-সহ শতাধিক গ্রন্থের লেখক। তাঁর লেখা বই হিন্দি ও রুশ ভাষাতেও অনূদিত হয়েছে। শিশু সাহিত্যে জাতীয় পুরস্কারের জন্য মনোনীত হন। কিন্তু পুরস্কারের অর্থমূল্য ৫০০০ থেকে কমিয়ে ১০০০ টাকা করা হয়েছিল বলে সেই পুরস্কার নেননি।

১৭৫৭ ব্রিটিশদের কলকাতা পুনর্দখল। ২০ জুন, ১৭৫৬-তে নবাব সিরাজউদৌলা কলকাতা দখল করে নেওয়ার পরে লর্ড ক্লাইভ এবং ওয়াটসন মাদ্রাজ থেকে জাহাজযোগে সৈন্যবাহিনী নিয়ে আসেন ও এদিন কলকাতা পুনরায় দখল করেন।

Previous articleপ্রায় পাঁচ হাজার সেনা গাজা থেকে সরিয়ে নিতে শুরু করেছে ইজরায়েল!
Next articleঅটোগ্রাফ চাওয়ার নামে দঃ কোরিয়ার বিরোধী নেতাকে ছুরির কোপ!