নয়া ফৌজদারি আইন অধ্যয়ন অধ্যয়নে ১৪ সদস্যের কমিটি গড়ল দিল্লি পুলিশ

ভারতীয় ন্যায় সংহিতা ২০২৩, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা ২০২৩ এবং ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম। এই তিনটি নতুন অপরাধ দমন আইন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুরা স্বাক্ষরের পরই আইনে পরিণত হয়েছে। নতুন এই ফৌজদারি আইন অধ্যয়ন এবং বোঝার জন্য ১৪ সদস্যের কমিটি গঠন করলো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের আওতাধীন দিল্লি পুলিশ।

বিশেষ পুলিশ কমিশনার ছায়া শর্মার নেতৃত্বে ১৪ জনের এই প্যানেলটির নেতৃত্বে থাকবেন ডেপুটি পুলিশ কমিশনার জয় তিরকি, অতিরিক্ত ডিসিপি উমা শঙ্কর, সহকারী পুলিশ কমিশনার হরি সিং, ইন্সপেক্টর রাজীব কুমার, রাজীব ভরদ্বাজ, নরেশ মালিক, দেবেন্দর সিং, অরুণ কুমার, সুরেশ কুমার, অনিল বেরওয়াল এবং সঞ্জীব কুমার এবং দুই সাব-ইন্সপেক্টর সোমবীর ও রজনী কান্ত। নতুন আইন অনুযায়ী কীভাবে তদন্ত হবে এবং তা কার্যকর হবে তা বোঝার জন্য কমিটিকে তদন্তকারী কর্মকর্তাদের ব্যবহারিক বোঝাপড়া এবং অধ্যয়নের জন্য ট্রেনিং নিতে হবে এবং পুরো বিষয়টিকে সংক্ষেপে বোঝাতে হবে বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে শীঘ্রই বিলগুলি কার্যকর হওয়ার তারিখ জানানো হবে বলে জানা গিয়েছে।

তবে মাত্র দু সপ্তাহ সময়ের মধ্যে পুরো বিলটিকে বোঝা কতটা সম্ভব হবে তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে দিল্লি পুলিশের আধিকারিকদের মধ্যেই। বিরোধীদের তরফে আগেই অভিযোগ জানানো হয়েছিল, একই জিনিসকে অযথা জটিল করে উপস্থাপন করা হয়েছে নতুন এই বিলের মাধ্যমে। পুলিশ আধিকারিকদের মধ্যেই সংশয় তৈরি হয়েছে, এই বিল সম্পূর্ণ বুঝে ব্যবহারের ক্ষেত্রে তা প্রয়োগ করতে গিয়ে যেকোনো সময় সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে প্রশাসনকে।

Previous articleবজরং-সাক্ষী-বিনেশদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব দেশের শতাধিক তরুণ কুস্তিগির
Next articleখুনের তদন্তে ‘সঠিক’ ধারা নেই! হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে বারাকপুর পুলিশ