দ্বিতীয় ম্যাচের প্রথম ইনিংসটা যতটা ভালো খেলেছে ভারত, দ্বিতীয় ইনিংসটা ততটাই জঘন্য খেলল। ব্যাট হাতে শুরু ভালো করলেও শেষের দিকে উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে ফিরল। সিরাজের দাপটে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৫৫ রানে আটকে রাখলেও তাদের সামনে বড় রানে টার্গেট তুলে দিতে পারল না ভারত। সৌজন্য়ে ব্যাটিং। গত ম্যাচে টপ অর্ডার ব্যর্থ হয় আর এবার ব্যর্থ হল মিডল অর্ডার। সব মিলিয়ে বোলিং দাঁড়ালেও ব্যাটিং সেই ব্য়র্থই। এদিন বিরাট কোহলি না থাকলে ভারতের সামনে আরও বড় লজ্জা অপেক্ষা করেছিল। এদিন দ্বিতীয় ইনিংস ভারত করল ১৫৩। ৯৮ রানের লিড নিল তারা।

দক্ষিণ আফ্রিকা মাত্র ২৩.২ ওভারে শেষ করেছিল ইনিংস আর ভারত খেলল ৩৪.৫ ওভার। একটা দল খারাপ হলে আর একটা দল আরও খারাপ। এদিন ৫৫ রানের সহজ টার্গেট নিয়ে খেলতে নেমেছিল। বোালারদের দাপটে লাঞ্চ ব্রেকের আগেই প্রোটিয়ারা গুটিয়ে যায়। আশা করা হয়েছিল ভারত তাদের প্রথম ইনিংসে অন্তত একটা গোটা দিন ব্যাট করবে। কিন্তু সেগুড়ে বালি।
বাকি ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও ব্যর্থ হন যশস্বী জয়সওয়াল। তিনি রাবাডার বলে গোল্ডেন ডাক হন। এরপর রোহিত শর্মা ও শুভমান গিল জুটি তৈরি করেন। এই জুটি ৫৫ রান করে। রোহিত শর্মা বাকি ম্যাচের থেকে এই ম্য়াচে অনেক ভালো শুরু করেছিলেন, তিনি ৩৯ রান করেন। এরপর ফেরেন শুভমান গিল। তিনি করেন ৩৬ রান। তিনি ফেরার পর ভরসা জুগিয়েছেন একমাত্র বিরাট কোহলি। তিনি শেষ পর্যন্ত দলকে টানেন। তবে অপর প্রান্ত থেকে প্লেয়ারদের ছিল ড্রেসিংরুমে ফেরার তারা। দক্ষিণ আফ্রিকার প্লেয়ারদের বলে কার্যত উত্তরহীন দেখাল টিম ইন্ডিয়াকে। পঞ্চম থেকে শেষ উইকেট পড়ল একটাও রান না হয়ে। অর্থাৎ, পঞ্চম উইকেট পড়ার সময় দলের রান ছিল ১৫৩ আর শেষও হল সেই রানেই।

শ্রেয়স আইয়ার খাতা খুলতে পারেননি। তাঁর সঙ্গে শূন্য পাওয়ার তালিকায় রয়েছেন রবীন্দ্র জাদেজা, জসপ্রীত বুমরাহ, মহম্মদ সিরাজ, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা ও মুকেশ কুমার। কেএল রাহুল একমাত্র ৮ রান করেন। সব মিলিয়ে দেখতে গেলে ভারত এদিন ব্যাট করতে নেমে রান করল ১৫৩। আর তাতে রান করলেন মাত্র তিনজন। বিরাট কোহলি (৪৬), রোহিত শর্মা (৩৯), শুভমান গিল(৩৬)। ১১ জনের মধ্যে একজনও হাফসেঞ্চুরি করতে পারলেন না। দ্বিতীয় ইনিংসেও এই অবস্থা থাকলে খারাপ ছবি নিয়ে ফিরতে হবে। টিম ইন্ডিয়াকে।
