রামচন্দ্র আমিষভোজী ছিলেন,শরদ পাওয়ারপন্থী এনসিপি নেতার মন্তব্যে তোলপাড়

এনসিপি নেতার মন্তব্যের নিন্দা করে সরব হয়েছে বিজেপি।

আগামী ২২ জানুয়ারি অযোধ্যার রামমন্দিরের দরজা খুলে দেওয়া হবে সর্বসাধারণের জন্য। তার আগে রামকে নিয়ে শরদ পাওয়ারপন্থী এনসিপি নেতা তথা বিধায়ক জিতেন্দ্র অওয়াড়ের মন্তব্য ঘিরে তোলপাড় দেশের রাজনীতি। রামচন্দ্র আমিষভোজী ছিলেন এবং জঙ্গলে শিকার করতেন বলে দাবি করেছেন তিনি। এনসিপি নেতার মন্তব্যের নিন্দা করে সরব হয়েছে বিজেপি।

ঘটনার সূত্রপাত বুধবার। মহারাষ্ট্রে শরদ পাওয়ার পন্থী এনসিপি-র পক্ষ থেকে একটি সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে বক্তব্য রাখার সময় রামমন্দির এবং রামের প্রসঙ্গে টেনে আনেন জিতেন্দ্র অওয়াড়। তিনি বলেন, রাজনীতি করার জন্য আমরা ইতিহাস পড়ি না। তাঁর মতে, রাম ছিলেন সাধারণ মানুষদের একজন। ১৪ বছর বনবাস জীবন পালন করেছেন রাম।এই সময় কখনও নিরামিষ খেয়ে থাকা যায় না বলে মনে করছেন তিনি। রাম নিরামিষভোজী ছিলেন না, শিকার করে খেতেন বলে চাঞ্চল্যকর অভিযোগের পাশাপাশি রামকে তিনি বহুজন বা দলিত রাজা বলেও উল্লেখ করেছেন।

অযোধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধনের দিনে মদ ও আমিষ বর্জনের ডাক দিয়েছে বিজেপি। মহারাষ্ট্রেও ওই দিনে আমিষ এবং মদ বর্জনের জন্য সরকারি নির্দেশিকা জারির দাবি করেছে তারা। বিজেপির এই দাবির বিরুদ্ধে সরব হওয়ার সময় রামকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যটি করেছেন এনসিপি নেতা।রামকে নিয়ে এই মন্তব্যের পরই সরব হয়েছে মহারাষ্ট্র বিজেপি ও তার সহযোগী দলগুলি। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। এনসিপির অজিত পাওয়ার গোষ্ঠীর সমর্থকরা অওয়াড়ের বাড়ির সামনে বিক্ষোভে সামিল হয়েছিলেন। সেই সঙ্গে অওড়ারের ছবিতে চপ্পল দিয়ে আঘাত করে তাঁরা প্রতিবাদ জানিয়েছেন।এনসিপির শরদপন্থী নেতা তথা বিধায়কের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।

 

Previous articleচটকলের অস্থায়ী কর্মীদের ৯০ শতাংশের স্থায়ীকরণ, মমতা-অভিষেককে ধন্যবাদ জানাতে হবে সভা: মলয়
Next articleপান্নুন হত্যার ষড়যন্ত্র: নিখিলের পরিবারের আবেদন খারিজ শীর্ষ আদালতে