রবিবার সিপিআইএমের (CPIM) যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই-এর (DYFI) ব্রিগেড (Brigade) সম্মেলন। ফের নতুন করে শহরকে স্তব্ধ করতে রীতিমতো কোমর বেঁধে ময়দানে নেমে পড়েছে লাল বাহিনী। তবে রাজনীতির ময়দানে ‘লাস্ট বয়’-রা ব্রিগেডে রবিবার কী দাপাদাপি করেন সেটাই এখন দেখার। তবে মুখে যুব সংগঠনের কথা আওড়ালেও সিপিএম-এর শীর্ষ নেতৃত্বের অঙ্গুলিহেলনেই যে এসব চলছে তা বুঝতে বাকি নেই রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। আর সেই মতোই ব্রিগেড সম্মেলনের আগে আগে শনিবার সন্ধ্যায় রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের (Buddhadeb Bhattacharya) পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতে পৌঁছে গেলেন ডিওয়াইএফআই নেতৃত্ব।

এদিন ব্রিগেডের মাস্টারপ্ল্যানের কাণ্ডারি কলতান দাশগুপ্ত, মীণাক্ষি মুখোপাধ্যায়-সহ ডিওয়াইএফআই নেতৃত্ব গিয়েছিলেন বুদ্ধদেবের বাড়িতে। তাঁদের কথায় রবিবার ব্রিগেডের জন্য বার্তা আনতেই রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে নাকি পৌঁছে যান সিপিআইএমের যুব সংগঠনের প্রতিনিধিরা। তবে এদিন বুদ্ধদেবের বাড়ি থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মীণাক্ষি জানিয়েছেন, রবিবার ব্রিগেড ভালো হবে, বড় হবে বলে জানিয়েছেন বুদ্ধবাবু। মীণাক্ষি বলেন, “আমাদের সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক কমরেড বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। আমাদের পূর্বসূরির কাছে আগামীকালের ব্রিগেডে আমাদের দাবি-দাওয়ার কথা জানিয়েছি। উনি শুনেছেন। অভিনন্দন জানিয়েছেন। উনি বলেছেন, ৫০ দিন ধরে চলা ইনসাফ যাত্রার বড় হল্ট ব্রিগেড। ব্রিগেড খুব ভাল হবে বলে আশা করেছেন তিনি”। তবে মীণাক্ষি সাফ জানিয়েছেন, বর্তমানে উনি ভালো আছেন। আমাদের মধ্যে ১০ মিনিট কথা হয়েছে। তবে উনি শারীরিক অবস্থার কারণে কোনও অডিও বা ভিডিও বার্তা তিনি দেননি।
অন্যদিকে, এদিন বুদ্ধদেবের স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্য সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জানান, “সবাই মিলে কামনা করছি আগামীকাল বড় মাপের একটা সমাবেশ হবে।”
