“ইডির অপব্যবহার”, সন্দেশখালি বিতর্কের মাঝেই বললেন খাড়গে

সন্দেশখালি ইস্যুতে একদিকে রাজ্যে বসে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির কথা বলছেন অধীর চৌধুরী। অন্যদিকে তাঁর দলের সভাপতির মুখে শোনা যাচ্ছে অন্য কথা। সন্দেশখালির উল্লেখ না করলেও মল্লিকার্জুন খাড়গে তৃণমূলের সুরেই জানালেন, বিজেপি খোলাখুলি ইডি-সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপব্যবহার করছে।

সন্দেশখালিতে তল্লাশি অভিযানে গিয়ে গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়ে আক্রান্ত হয়েছেন ইডির আধিকারিকরা। এই ঘটনায় শাসকদলের তরফে জানানো হয়েছে, লাগাতার যেভাবে ইডির অপব্যবহার হচ্ছে। যে ভাবে পরিকল্পনা করে শাসকদলের নেতাদের টার্গেট করা হচ্ছে, অথচ বিজেপি নেতাদের ছাড় দেওয়া হচ্ছে তাতে হয়তো মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিক্রিয়া হচ্ছে। সেটারই বহিঃপ্রকাশ এই ক্ষোভ। সেই একইসুরে এদিন খাড়গে বলেন, “মোদি সরকার খোলাখুলি ইডি ও সিবিআইয়ের অপব্যবহার করছে। কখনও কংগ্রেস নেতাদের ধরা হচ্ছে। কখনও তৃণমূল নেতাদের ধরা হচ্ছে। কখনও আবার টিডিপি নেতাদের ধরা হচ্ছে। সবাইকে কলঙ্কিত বলে দেওয়া হচ্ছে।” কংগ্রেস সভাপতির আরও বলেন, “আমাদের নেতাদের ধরলে তাঁরা কলঙ্কিত হচ্ছেন। অথচ সেই নেতাই বিজেপিতে যোগ দিলে তাঁর সব কলঙ্ক মিটে যাচ্ছে। ওদের কাছে সবচেয়ে বড় ওয়াশিং মেশিন আছে।”

অর্থাৎ সরাসরি সন্দেশখালির নাম না নিলেও ঘুরপথে এই ইস্যুতে তৃণমূলের পাশেই দাঁড়ালেন খাড়গে। অথচ রাজ্যে বসেই এই ঘটনায় তৃণমূলকে আক্রমণ করেই চলেছেন অধীর। অবশ্য তাঁর দাবিকে খণ্ডন করে কংগ্রেসের তরফে কেসি বেণুগোপাল এদিন সাফ জানিয়ে দেন, “অধীরের রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবিকে সমর্থন করে না কংগ্রেস শীর্ষনেতৃত্ব। ওটা প্রদেশ কংগ্রেসের মত। সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটি সেটাকে সমর্থন করে না।”

Previous articleআলিগড়ে CID আ.ক্রান্ত হওয়ায় কে প্রশ্ন করেছে যোগীকে? পোস্টে তো.প তন্ময়ের
Next articleরেশন বন্টন মামলায় গ্রে.ফতার শঙ্করের ১৪ দিনের ইডি হে.ফাজতের নির্দেশ আদালতের