আলিগড়ে CID আ.ক্রান্ত হওয়ায় কে প্রশ্ন করেছে যোগীকে? পোস্টে তো.প তন্ময়ের

২০১৭ সালে যোগীরাজ্যে (Yogi State) বাংলার তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি (CID) আধিকারিকদের উপর আক্রমণের কথা মনে করালেন তৃণমূল মুখপাত্র তন্ময় ঘোষ (Tanmoy Ghosh)। শুক্রবার সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) জোর করে শাহজাহান শেখের (Sahjahan Seikh) বাড়িতে হানা দেওয়ার চেষ্টা করেন ইডি আধিকারিকরা (ED Officials)। তবে উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ না থাকার কারণে ইডি আধিকারিকদের বাধা দেন স্থানীয়রা। পরে জোর করে তল্লাশি চালাতে গেলে জনরোষের মুখে পড়তে হয় ইডি আধিকারিকদের। যার জেরে ৩ ইডি আধিকারিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে শুক্রবারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। আর ঘটনার চব্বিশ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই মূল ঘটনার সমাধানের রাস্তায় না গিয়ে নোংরা রাজনীতির খেলায় মেতে উঠেছে বিরোধীরা। আর যার পাল্টা দিলেন তৃণমূল মুখপাত্র।

শনিবার সকালে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে তন্ময় লেখেন, ২০১৭ সালে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) খুনের জন্য ১১ লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেন বিজেপি যুব মোর্চার প্রাক্তন মণ্ডল সভাপতি। তাঁকে গ্রেফতার করতে উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ে (Aligarh) গিয়ে বিজেপির গুন্ডাদের হাতে আক্রান্ত হন বাংলার সিআইডি আধিকারিকরা। ওই ঘটনা নিয়ে যোগী আদিত্যনাথকে কি কেউ প্রশ্ন করেছে? রাজ্যপাল রাষ্ট্রপতি শাসন জারির হুমকি দিয়েছিলেন? নাকি উত্তরপ্রদেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলেছিলেন? এমন কিছুই হয়নি। তৃণমূল মুখপাত্রের এমন পোস্টের পর শুরু হয়েছে বিতর্ক। তবে রাজনৈতিক মহলের মতে, শুধুমাত্র বাংলাকেই বেছে বেছে টার্গেট করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নামে বারবার আক্রমণ করা হচ্ছে। লোকসভা নির্বাচনের আগে বাংলার মাটিতে নিজেদের শেষ সম্বলটুকু বাঁচাতেই উঠেপড়ে লেগেছে মোদি সরকার। আর সেকারণেই একাধিক ঘটনা ঘটিয়ে মানুষকে বিপদের মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য, শুক্রবার দুটি দলে ভাগ হয়ে রেশন বন্টন মামলার তদন্তে তল্লাশি অভিযানে বের হন ইডির আধিকারিকরা। সকালে ইডির একটি দল পৌঁছয় বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যের শ্বশুরবাড়িতে। অন্য দলটি সন্দেশখালির সরবেড়িয়ার তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের বাড়িতে যায়। শাহজাহানের বাড়ি তালাবন্ধ ছিল। এরপর বহুক্ষণ চলে ডাকাডাকি। তারপরও মেলেনি সাড়াশব্দ। এরপর তালা ভাঙার চেষ্টা করেন ইডির আধিকারিকরা। তখনই ইডির আধিকারিকদের ঘিরে ধরেন স্থানীয়রা। পরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। এরপরই জনরোষের মুখে পড়েন ইডি আধিকারিকরা।

 

 

 

 

Previous articleফের কথা রাখলেন অভিষেক, রবিবার ডায়মন্ড হারবারে বার্ধক্য ভাতা প্রদান করবেন সাংসদ
Next article“ইডির অপব্যবহার”, সন্দেশখালি বিতর্কের মাঝেই বললেন খাড়গে